প্রতীকী চিত্র।
টেবিলের চারদিকে চারটি চেয়ার। টেবিলের উপর আতস কাচ ও চিনের মানচিত্র! আগামিকাল টোকিও-য় ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার চর্তুদেশীয় অক্ষ বা কোয়াড-এর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সংক্ষেপে এটাই হল চিত্র। বর্তমান ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি অনুযায়ী, বেজিংয়ের সঙ্গে চারটি দেশেরই বৈরি সম্পর্ক। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, প্রকৃতপক্ষে এই অক্ষের জন্মই হয়েছিল গত বছর চিন-বিরোধিতার উপর ভিত্তি করে। সমুদ্রপথে বেজিংয়ের একাধিপত্য, করোনা সংক্রমণে তাদের সন্দেহজনক ভূমিকা, সীমান্তবর্তী দেশগুলির ভূখণ্ডের প্রতি আগ্রাসনের মতো অভিযোগগুলি চার দেশের আলোচনার কেন্দ্র হতে পারে।
টোকিও-য় আগামিকাল উপস্থিত থাকবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গোটা বিষয়টি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারত যখন এই আলোচনার টেবিলে বসছে, তখন লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহ বজায় রয়েছে। আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি অভিযোগ তুলেছে উহানের গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে। একে ‘চিনা ভাইরাস’ বলেও উল্লেখ করতে ছাড়েনি আমেরিকা।
অস্ট্রেলিয়া একদা চিনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও, সেই সম্পর্ক এখন তলানিতে। সে দেশ থেকে রফতানি করা পণ্যের উপর একের পর এক অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বেজিং। পূর্ব চিন সাগরের সেনকাকু দ্বীপের অধিকার নিয়ে ছায়াযুদ্ধ চলছে চিন এবং জাপানের মধ্যে।
তাই সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে চিনকে চাপে রাখাটাই এই অক্ষের উদ্দেশ্য। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, আগামিকালের বৈঠকে প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে সার্বিক সমন্বয়ের পাশাপাশি, সাইবার সন্ত্রাস মোকাবিলার কৌশল এবং ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিয়েও আলোচনা হবে। চার দেশীয় নৌ-মহড়া (মালাবার) কবে হবে তা নিয়েও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা ওই বৈঠকে।