জেকব জ়ুমা। ফাইল চিত্র।
আদালত অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেকব জ়ুমা জেলে যেতে এখনও নারাজ। তিনি সরাসরি বলেছেন, ‘‘এই করোনা আবহে আমায় এত মাসের জন্য জেলে পাঠানোর মানে তো মৃত্যুদণ্ড দেওয়ারই শামিল।’’
ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারি কোষাগার লুণ্ঠন-সহ অজস্র আর্থিক দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ ছিল ৭৯ বছরের জ়ুমার বিরুদ্ধে। তারই একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বারবার তাঁকে সশরীর হাজিরা দিতে বলেছিল আদালত। তিনি সেই নির্দেশ না মানায় গত সপ্তাহে জোহানেসবার্গের এক সাংবিধানিক আদালত জ়ুমাকে আদালত অবমাননার দায়ে ১৫ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। গত কাল ছিল জ়ুমার আত্মসমর্পণের শেষ দিন। কিন্তু তিনি স্পষ্টই জেলে যেতে রাজি নন। উল্টে তাঁর দাবি, দেশের আদালত তাঁর সাংবিধানিক অধিকার কেড়েছে।
বর্তমানে কোয়াজ়ুলু নাতাল প্রদেশে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে রয়েছেন জ়ুমা। এই বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রেও লক্ষাধিক ডলার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কিত বাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের গত কাল জ়ুমা বলেছেন, ‘‘আমার আজই জেলে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।’’ প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে তাঁর বাড়ির সামনে শিবির করে রয়েছেন কয়েকশো সমর্থক। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের প্রিয় নেতাকে গ্রেফতার করতে এলে আগে তাঁদের মুখোমুখি হতে হবে। জ়ুমাকে জোর করে গ্রেফতার করে জেলে পুড়লে দেশের বর্তমান সরকার তার ফল ভুগবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার পদত্যাগও দাবি করেছেন তাঁরা। জ়ুমা বলেছেন, ‘‘এত মানুষকে (তাঁর সমর্থকদের) এড়িয়ে পুলিশ আমায় কী ভাবে গ্রেফতার করবে, সেটাই ভাবছি।’’