ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
বিরোধী শিবিরকে ‘বাগে আনতে’ আর্থিক দুর্নীতির মামলা দায়ের করার অভিযোগ। ভারতের পর এ বার পাকিস্তানে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার সে দেশের প্রধান বিরোধীদল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান তথা প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে।‘
বেআইনি বিদেশি উৎস’ থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার পিটিআই-কে নোটিস পাঠিয়েছে পাক নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল । আইন বহির্ভূত পদ্ধতিতে আর্থিক সাহায্য নেওয়ার অভিযোগে কেন ইমরানের দলের তহবিল বাজেয়াপ্ত করা হবে না, সে বিষয়ে কৈফিয়তও চাওয়া হয়েছে। যদিও পিটিআই-এর তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শাহবাজের দল ‘পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং তার প্রধান সহযোগী ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টি’ (পিপিপি)-র নেতা তথা পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো আগেই ইমরানের বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে বেআইনি ভাবে অনুদান নিয়ে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে লড়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এর পর বহিষ্কৃত পিটিআই নেতা আকবর এস বাবরও একই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। কমিশনের ট্রাইব্যুনাল বলেছে, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
বাবরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সিকন্দর সুলতান শাহের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ নোটিস পাঠিয়েছে পিটিআই-কে। বাবরের দাবি, পশ্চিম এশিয়ার একাধিক ধনকুবের-সহ মোট ৩৪ জন বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থেকে ১৩টি গোপন অ্যাকাউন্টে বেআইনি ভাবে অনুদান নিয়েছে পিটিআই।