গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শনিবার মধ্যরাতে ইসলামাবাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটিতে শোচনীয় হারের মুখে পড়তে হয়েছে। তবু হাল ছাড়তে নারাজ ইমরান খান। অনাস্থায় পরাজয়ের পর রবিবার সদ্য প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী টুইট করে আবার স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরুর বার্তা দিলেন। ইমরানের টুইটে ফিরে এল বহুচর্চিত ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’র তত্ত্বও। এরই মধ্যে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)-এর সমস্ত সদস্য ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পরাজয়ের পরও মনোবল ভাঙেনি ইমরানের। নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নামতে তিনি যে তৈরি, হারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টুইট করে বুঝিয়ে দিলেন। ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ইমরান নিজের টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, ‘১৯৪৭-এ পাকিস্তান স্বাধীন হলেও বিদেশি ষড়যন্ত্রের জেরে দেশের ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম আজ থেকে আবার শুরু হল। দেশের মানুষই বরাবর দেশের সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করে।’
রবিবার ইসলামাবাদের বানি গালায় পিটিআই-এর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান। সেখানেই আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়। এর পরই পাকিস্তানের সদ্য প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরী ঘোষণা করেন, যদি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর সভাপতি শাহবাজ শরিফের আগামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের আপত্তির নিষ্পত্তি না করা হয়, তা হলে সোমবারই পিটিআই সদস্যরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি থেকে ইস্তফা দেবেন।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তানের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অন্য দিকে পিটিআই-এর তরফে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছে। সোমবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। কিন্তু তার আগেই নতুন করে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দিলেন ইমরান।