পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি: রয়টার্স।
পুলিশ-প্রশাসনের উপর হামলা এবং হিংসায় উস্কানির দু’টি মামলা থেকে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দিল আদালত। ক্ষমতা হারানোর পরে ২০২২ সালের মে মাসে ইমরান যে আজাদি মার্চ শুরু করেছিলেন। তাকে কেন্দ্র করেই পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছিল সে সময়।
আজাদি মার্চে হিংসার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান এবং তাঁর দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, রাষ্ট্রদ্রোহ, হিংসা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সশস্ত্র হামলা-সহ নানা অভিযোগে দু’ডজন মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। কিন্তু বিশেষ আদালতের বিচারক মুরিদ আব্বাস ও শাহজাদ খান করাচি ও কোহসারের হিংসার মামলায় ইমরানকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন। প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়, পিটিআই নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশি, কাশিম সুরি, জ়ারতাজ গুল, শিরিন মাজারি এবং সহযোগী আওয়ামি মুসলিম লিগের চেয়ারম্যান শেখ রশিদকে।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়ে নতুন করে ভোটের দাবিতে ২০২২-এর ২৫ মে খাইবার-পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ার থেকে ইসলামাবাদের ডি-চকের উদ্দেশে ‘আজাদি মার্চ’ শুরু করেছিলেন ইমরান এবং তাঁর সঙ্গীরা। অশান্তি এড়াতে শাহবাজ সরকার ইমরানের কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু পাক সুপ্রিম কোর্ট ইসলামাবাদের প্রান্তে পেশোয়ার মোড়ে সমাবেশের অনুমতি দেয় ইমরানের দলকে। কিন্তু তাতে অশান্তি এড়ানো যায়নি। এমনকি, আজাদি মার্চ চলাকালীন ইমরানের উপর হামলা হয় বলেও অভিযোগ।