হামলাকারীকে গুলি চালাতে বাধা ইবতিসাম হাসার (লাল-সাদা টিশার্ট পরা)। ছবি: সংগৃহীত।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে তাক করে তখন সবে একটি মাত্র গুলি চালিয়েছিল আততায়ী। দ্বিতীয় বার পিস্তলের ট্রিগারটা যেই না টানতে যাওয়া, পিছন থেকে জাপটে ধরে এক ধাক্কায় আততায়ীর হাত থেকে বন্দুকটা ফেলে দিয়েছিলেন। তার পরেও কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই আততায়ীকে জনগণের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
তিনি ইবতিসাম হাসা। ইমরান খানকে বাঁচানোর পর এখন তিনি পাকিস্তানের ‘হিরো’। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্য হাসা। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে হাসা জানিয়েছেন, ইমরান যে গাড়িতে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তার ঠিক ১০-১২ ফুট দূরেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তখনই তিনি দেখতে পান এক ব্যক্তি বন্দুকে গুলি ভরে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেন। দ্বিতীয় বার গুলি চালানোর আগেই হামলাকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসা।
তিনি জানান, তখন একটাই লক্ষ্য ছিল, হামলাকারীকে যে ভাবেই হোক নিরস্ত করা। তাই নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও হামলাকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি এখন সকলের চোখে হিরো। তাঁকে নিয়ে সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও, হাসা কিন্তু সেই জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিতে চান না। বরং তাঁর এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা কিন্তু ইমরানকে নিয়েই। এ প্রসঙ্গে ইমরানের উদ্দেশ্যে তাঁর ‘ত্রাতা’ হাসা বলেছেন, “খান স্যর, যত দিন বেঁচে থাকব, আপনার গায়ে কোনও আঁচ লাগতে দেব না!”
বৃহস্পতিবার ওয়াজ়িরাবাদে একটি জনসভায় ইমরানের উপর হামলা চালায় আততায়ীরা। সেই হামলায় ইমরানের পায়ে গুলি লাগে। আহত হন পিটিআইয়ের ছয় সমর্থক। দুই হামলাকারীদের মধ্যে এক জনকে তৎক্ষণাৎ ধরা হয়। দ্বিতীয় জন পলাতক।