বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। —ফাইল ছবি।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গত ১৬ জুলাই পুলিশের ছোড়া রবার বুলেটে মৃত্যু হয়েছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের। গোটা বিশ্ব দেখেছিল সেই দৃশ্য। এ বার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর এক নেতা সাইদুর রহমানের খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল।
সোমবার রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় হাসিনা-সহ মোট ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহত সাইদুরের মা লাভলি বেগম। হাসিনা ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রাক্তন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ এ আরাফত এবং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ির হানিফ উড়ালসড়কের কুতুবখালি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন সাইদুর। আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ মুন্নার নেতৃত্বে মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সাইদুর। প্রসঙ্গত, ৫ অগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে নিয়েছিলেন হাসিনা। এর পরে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি ক্ষেত্রে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর হাসিনা, কাদের-সহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাসিনা-সহ সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে। কোটা সংস্কার আন্দোলন পর্বে ‘গণহত্যা এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার প্রেক্ষিতে ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।