Barn Owl

সাইপ্রাসে চাষের জমি রক্ষা করে চলেছে পেঁচা!

এক সময়ে ইঁদুরের তাণ্ডবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হত সাইপ্রাসের কৃষকদের। সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হত তাঁদের, যাঁদের জমির বিস্তার রয়েছে রিপাবলিক অব সাইপ্রাস এবং রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের মধ্যবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিকোসিয়া (সাইপ্রাস) শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ০৯:৩৭
Share:

সাইপ্রাসের ‘বার্ন’ প্রজাতির পেঁচা। ছবি: সংগৃহীত।

চাষের জমি রক্ষার দায়িত্বে পেঁচা! কিছু দিন ধরে সমাজমাধ্যম জুড়ে চর্চার শীর্ষে উঠে এসেছে সাইপ্রাসের এই বিরল উদাহরণ।

Advertisement

এক সময়ে ইঁদুরের তাণ্ডবে প্রাণ ওষ্ঠাগত হত সাইপ্রাসের কৃষকদের। সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হত তাঁদের, যাঁদের জমির বিস্তার রয়েছে রিপাবলিক অব সাইপ্রাস এবং রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের মধ্যবর্তী অঞ্চল পর্যন্ত। সব সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে জমির ঠিক মতো দেখাশোনা করতে পারতেন না তাঁরা। এ দিকে ইঁদুর এসে নষ্ট করে যেত ফসলের এক বিরাট অংশ।

এই সমস্যার মোকাবিলা করতে এগিয়ে আসে ‘বার্ডলাইফ’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দুই সীমান্তের মধ্যবর্তী ওই এলাকায় বিভিন্ন গাছের ডালে পেঁচাদের থাকার মতো প্রায় ৫০টি কাঠের বাক্স বসায় তারা। একই সঙ্গে কৃষকদের ইঁদুর মারার বিষের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। বদলে ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্বটি পেঁচাদের উপরেই ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

প্রায় এক দশক ধরে চলছে এই অভিযান। যার ভিত্তিতে বার্ডলাইফেরই করা এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বছরে কম করে হলেও পাঁচ হাজার ইঁদুর মারে ওই অঞ্চলে চাষের জমির আশপাশে বাসা বাঁধা পেঁচারা। বিশেষত ‘বার্ন’ প্রজাতির পেঁচাদেরই দেখা মেলে সেখানে। গোটা ইউরোপ জুড়ে যাদের সংখ্যা কমে আসায় এক সময়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিবেশবিদেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement