নেপালে বিমান দুর্ঘটনা। ছবি: পিটিআই।
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনার পর আবার চর্চায় ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দর। ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দর বলতে বোঝায় যে বিমানবন্দরটি আশপাশের জমি থেকে উচুঁতে অবস্থিত। অর্থাৎ, যেখানে রানওয়ের একটি দিকে কিংবা একাধিক দিকে খাড়া ঢাল রয়েছে। এই ধরনের বিমানবন্দরগুলি সব সময় পাইলটের অভিজ্ঞতার পরীক্ষা নেয়। কারণ, এখানে রানওয়ের শেষে বিমান সরাসরি আকাশে ‘ছিটকে’ যায়। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও একটি ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দর।
ভারতেও এ ধরনের পাঁচটি ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দর রয়েছে। শিমলা (হিমাচল প্রদেশ), কালিকট (কেরল), মেঙ্গালুরু (কর্নাটক), লেঙপুই (মিজোরাম) ও পাকিয়ং (সিকিম)। এর মধ্যে কালিকট ও মেঙ্গালুরু বিমানবন্দর অতীতে বড় দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। ২০১০ সালের মে মাসে দুবাই থেকে মেঙ্গালুরুগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অবতরণের ঠিক আগেই আছড়ে পড়েছিল বিমানবন্দরে। ছয় বিমানকর্মী-সহ ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল দুর্ঘটনায়।
এই দুর্ঘটনার ঠিক ১০ বছর পরে, ২০২০ সালের অগস্টে ভারতের আরও এক ‘টেবল টপ’ বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা। কোভিডকালে দুবাইয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে কোঝিকোড়ে ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। রানওয়ে অবতরণের পরই পিছলে যায় বিমানটি। দুর্ঘটনায় দুই পাইলট এবং ১৯ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। বরাত জোরে রক্ষা পেয়েছিলেন ১৬৯ জন যাত্রী। প্রসঙ্গত, এই টেবল টপ বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা কী রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনায় বসে ডিজিসিএ। বিমানবন্দরের সামগ্রিক ব্যবস্থা কেমন রয়েছে, কোথাও কোনও ঝুঁকি রয়েছে কি না, কী ভাবে এগুলিকে আরও উন্নত করা যেতে পারে, সেগুলি দেখার জন্যই এই পর্যায়ক্রমিক আলোচনা।