প্রথম ড্রোনটি নজরে আসে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। ঘণ্টা তিনেক ঘুরে ফেরে সেটি। বিকেলে নজরে আসে আরও তিনটি ড্রোন। প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সোমবার ঢুকে পড়েছিল উত্তর কোরিয়ার পাঁচটি ড্রোন। সেগুলিকে গুলি করে নামাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের অন্দরে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিবৃতি জারি করে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিল তারা। এ বার পাল্টা উত্তরের দিকে ড্রোন পাঠাল দক্ষিণও!
নতুন বছরে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আর্থিক ও রাজনৈতিক নীতি নির্ধারণ করতে সম্প্রতি দেশের শাসক কিম জং উনের নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠক শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। ঠিক সেই সময়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময়ের বিরতি কাটিয়ে সোলের আকাশে পিয়ংইয়্যাংয়ের ড্রোন পাঠানোর বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কূটনীতিকেরা। প্রথম ড্রোনটি নজরে আসে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। ঘণ্টা তিনেক ঘুরে ফেরে সেটি। বিকেলে নজরে আসে আরও তিনটি ড্রোন। যদিও শতাধিক গুলি ছোড়া সত্ত্বেও কোনওটিকেই নামাতে পারেনি সোলের সেনা। দক্ষিণের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, প্রেসিডেন্টের দফতরের ছবি তুলতেই ড্রোনগুলিকে পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সোমবার উত্তরের পাঠানো ড্রোনগুলির জেরে রাজধানী সোলের নিকটবর্তী বিমানবন্দরগুলির পরিষেবা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হয়। সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হয় বিমান চলাচল।
তবে পিয়ংইয়্যাংয়ের আক্রমণের মুখে এ ভাবে রুখে দাঁড়িয়ে একই ধাঁচে পাল্টা আক্রমণ চালানোর নজির খুব একটা নেই সোলের। তাদের পাঠানো ড্রোন উত্তর কোরিয়ার সেনাঘাঁটিগুলির ছবি তুলে আনে বলে প্রশাসনিক মহলের অন্দরের গুঞ্জন। বিষয়টি নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। যদিও সোলের আধিকারিকদের দাবি, এতে অবাক হওয়ার কারণ নেই। বর্তমান নীতি অনুযায়ী, পিয়ংইয়্যাংয়ের করা সব রকম হামলার জবাব একই ধাঁচে ফেরত দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে সরকার।