—ফাইল চিত্র।
সরকার-বিরোধী গণআন্দোলনের পরে এই প্রথম ভোট হচ্ছে ইরানে।
ইরানে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ৬ কোটি ১২ লক্ষ। প্রাথমিক ভাবে যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তা
থেকে স্পষ্ট, শুক্রবারের এই ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন বেশির ভাগ মানুষ। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়। স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যায়, নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কিছু ক্ষণ ভোট নেওয়া চলছে রাজধানী তেহরান-সহ বিভিন্ন শহরের ভোটকেন্দ্রগুলিতে। ইরানে মোট ৫৯ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
ইরানে আজ ভোট হয়েছে পার্লামেন্টের প্রতিনিধি, অর্থাৎ এমপি এবং বিশেষজ্ঞ পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার জন্য। এই বিশেষজ্ঞ পরিষদ দেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক নেতা নির্বাচন করে তারা। এই গোষ্ঠীতে ৮৮ জন প্রতিনিধি
রয়েছেন। পার্লামেন্টে এমপি-র সংখ্যা ২৯০। সেই আসনগুলির জন্য এ বার ১৫ হাজার ২০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁদের মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ১৭১৩। ইরানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ১৯৭৯ সালের পরে এত বেশি সংখ্যক প্রার্থী কোনও ভোটে অংশ নেননি। ভোটের ফল প্রকাশিত হতে শুরু করবে স্থানীয় সময় আগামী কাল সকাল থেকে।
এ দিন সকালে ভোট দেন দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। তার আগে এক বিবৃতি জারি করে দেশবাসীকে ভোট দিতে উৎসাহ দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘দেশে সঠিক প্রশাসন গড়ে তুলতে নির্বাচন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি প্রক্রিয়া। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্বাচন হওয়া খুবই জরুরি। তাই সকলকে ভোট দিতে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’’ তবে খামেনেইয়ের সেই কথায় কোনও কাজ হয়েছে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে, ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে যখন পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল, তখন ভোট পড়েছিল ৪২ শতাংশ। তার পরের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৪৮ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহশা আমিনের মৃত্যুর পরে দেশে সরকার-বিরোধী মনোভাব প্রবল। ফলে এ বার ভোটদাতার সংখ্যা অনেকটাই কমতে পারে বলে মত ভোট সমীক্ষকেরা।