গাজ়া ছাড়ছেন বিদেশিরা। ছবি: সংগৃহীত।
মিশরের রাফা সীমান্ত ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজ়া ছাড়লেন বেশ কয়েক জন বিদেশি নাগরিক। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র তরফে এই খবর জানা গিয়েছে। তবে বুধবার ঠিক কত জন গাজ়া ভূখণ্ড ছেড়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এএফপি-র প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বুধবার গাজ়ার দক্ষিণাংশ থেকে রাফা সীমান্ত ধরে বেশ কয়েক জন বিদেশি নাগরিক মিশরে গিয়েছেন। সেখান থেকে তাঁরা নিজেদের দেশের উড়ান ধরবেন। গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর বেশ কিছু দিন রাফা সীমান্ত বন্ধ রেখেছিল মিশর। মিশর প্রশাসনের আশঙ্কা ছিল যে, সীমান্তের দরজা খুলে দেওয়া হলে প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সদস্যরা ইজ়রায়েলি হানা থেকে রক্ষা পেতে তাদের দেশে এসে আশ্রয় নেবেন। পরে যদিও গাজ়ায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য নিয়ন্ত্রিত ভাবে সীমান্তের দরজা খুলেছিল মিশর। এ বার মানুষের যাতাযাতের জন্যও সীমিত ভাবে রাফা সীমান্ত খুলল নীলনদের দেশ।
একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গাজ়া ছাড়ার জন্য বুধবার রাফা সীমান্তে জড়ো হন প্রায় ৪০০ জন বিদেশি নাগরিক। তাঁদের মধ্যে ৪৪টি দেশের নাগরিকেরা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রয়েছেন জাতিপুঞ্জের একাধিক সংগঠন-সহ মোট ২৮টি সংগঠন এবং সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর আগে রাফা সীমান্ত ধরে প্রায় ২০০টি ট্রাকে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছেছিল গাজ়ায়।
গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজ়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৫২৫ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু-কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা অন্তত ৩ হাজার ৫৪২ জন। সোমবার পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩০৬ জন। অর্থাৎ, এক দিনে ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ইজ়রায়েলের হামলায়। তার পাশাপাশি, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও মৃত্যু হয়েছে দুই প্যালেস্তিনীয়ের। মঙ্গলবারেও গাজ়ার শরণার্থী শিবিরে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হানা চলেছে। বিস্ফোরণের ফলে উত্তর গাজ়ার সব চেয়ে বড় শরণার্থী শিবির নিমেষের মধ্যে কার্যত শ্মশানে পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি ভূমধ্যসাগর, ইজ়রায়েল এবং মিশর দিয়ে ঘেরা এই ভূখণ্ডে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে।