মুর্শিদাবাদে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। —নিজস্ব চিত্র।
এখনও পর্যন্ত ১৫ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে মুর্শিদাবাদে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ এবং আধাসেনা যৌথ ভাবে অভিযান চালাচ্ছে জেলার উপদ্রুত এলাকায়। ওই সব এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশেরও একটি বিশেষ দল।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে আগে থেকেই দুই কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন ছিল। শনিবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে জেলায় আরও আট কোম্পানি বাহিনী পৌঁছয়। রবিবার সকালের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জঙ্গিপুরে আরও পাঁচ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিকে স্পর্শকাতর এবং অতিস্পর্শকাতর— এই দুই ভাগে ভাগ করে বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার ধুলিয়ান পুর এলাকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেশি জোর দিয়েছে বিএসএফ। শুধুমাত্র ধুলিয়ানেই ৩০০-রও বেশি বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক সচল রাখতে ফরাক্কা, সুতি ও শমসেরগঞ্জ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই এলাকায় রুটমার্চ করছে আরও দুই কোম্পানি। ‘কুইক রেসপন্স টিম’ হিসাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও এক কোম্পানিকে।
প্রয়োজনে রবিবার রাতে জঙ্গিপুর আরও পাঁচ কোম্পানি সিআরপিএফ নিয়ে আসা হতে পারে বলেই খবর বিএসএফ সূ্ত্রে। ওই সূত্র জানিয়েছে, মূলত ঝাড়খণ্ড, জামশেদপুর ও রাঁচী থেকে জরুরি ভিত্তিতে বাহিনী আনা হচ্ছে মুর্শিদাবাদে। বাড়তি বাহিনী এসে পৌঁছোলে উপদ্রুত এলাকার পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলিতেও চলবে রুটমার্চ।
দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের ডিআইজি নীলোৎপল পাণ্ডে বলেন, ‘‘বর্তমানে আট কোম্পানি বিএসএফ জঙ্গিপুরে মোতায়েন রয়েছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা কাজ করছি। উপদ্রুত এলাকায় মানুষের আস্থা ফেরানো আমাদের প্রথম লক্ষ্য। অশান্তি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত সংখ্যায় রাজ্য পুলিশও রয়েছে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের একটি বিশেষ মনিটরিং দল শমসেরগঞ্জ ও সুতি থানা এলাকায় কাজ করছে। প্রত্যেকটি থানা এলাকার স্পর্শকাতর জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে নজরদারিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনীও কাজ করছে। নতুন করে অশান্তির খবর নেই। দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে এলাকাগুলি।’’