পাক অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল। ছবি সংগৃহীত।
চার মাসেই বদলে গেল সিদ্ধান্ত। গত এপ্রিল মাসে ভারত থেকে গম, চিনি-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু দেশ জুড়ে প্রবল আর্থিক সঙ্কট এবং বন্যা পরিস্থিতির জেরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ মঙ্গলবার বন্যা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে খাদ্য আমদানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে, যে দেশগুলি থেকে খাদ্য আমদানির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে, সেই তালিকায় ভারতও রয়েছে। অর্থনীতির ভিত নড়বড়ে হয়েছে আগেই। তার উপর বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাজকোষে এমনই টান পড়েছে যে, তা সামাল দিতে নাভিশ্বাস উঠেছে শরিফ সরকারের। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ছুৎমার্গ ছেড়ে ‘বিকল্প পথ’ খুঁজতে ইসলামাবাদ কার্যত বাধ্য হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার রাতে পাক অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে খাদ্য আমদানির সম্ভবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পাক সেনার ‘অনুমোদন’ ছাড়া এ কথা তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশ। যদিও প্রধানমন্ত্রী শরিফ নিজে ভারত থেকে খাদ্য আমদানির সম্ভাবনা নিয়ে কিছু বলেননি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের প্রতিবাদে ভারত থেকে তুলো, চিনি-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। যদিও কয়েক মাস পরেই ‘পাকিস্তান ইকনমিক কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল’-এর সুপারিশ মেনে তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।