ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি। ফাইল চিত্র।
রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় এগারো মাস ধরে যুদ্ধে শামিল তাঁর দেশ। এই অশান্তির আবহেই শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। আর এই বার্তা দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চকে। আমেরিকার সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে ভিডিয়োবার্তার মাধ্যমে শান্তি ও সুস্থিতির বার্তা দিতে চেয়েছিলেন জ়েলেনস্কি। কিন্তু তাঁর এই ইচ্ছায় বাধ সেধেছে বিশ্বকাপের আয়োজক তথা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফা।
এর আগেও জ়েলেনস্কিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে শান্তির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। কখনও ইজরায়েলের আইনসভায়, কখনও কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে, কখনও বা জি২০ সম্মেলনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শান্তির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জ়েলেনস্কি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়ও বিশ্বে শান্তিপ্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে যখন আগ্রহ তুঙ্গে, তখন এই জনপ্রিয় মঞ্চ থেকেই আরও এক বার শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
যদিও জ়েলেনস্কির আবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে ফিফা। তবে একই সঙ্গে সিএনএন-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ইউক্রেন প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে ফিফার উপরমহলের আলাপ আলোচনা চলছে।
ফিফা অবশ্য স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে, খেলার ময়দানে কোনও রাজনৈতিক প্রতিবাদকে মেনে নেওয়া হবে না। কোনও খেলোয়াড় যদি মাঠে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে তৎক্ষণাৎ মাঠ থেকে বার করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেয় ফিফা। সমকামী প্রেমে সমর্থন জানিয়ে ইউরোপের দেশগুলি যে রামধনু রঙা আর্মব্যান্ড পরছিল, তা-ও নিষিদ্ধ করে দেয় তারা। যদিও পুরোপুরি রাজনৈতিক ছোঁয়াচ এড়াতে পারেনি ফিফা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘হামলা’ চালানোর অভিযোগে বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করা হয় রাশিয়ার জাতীয় ফুটবল দলকে।