রিয়াধে কেরিয়ার মেলায় ছাত্রীরা। ছবি: রয়টার্স
গত বছর মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়ে দরজা খোলার বার্তা দিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু, এ বার উল্টো পদক্ষেপ দুবাইয়ের। নারীবাদী চিন্তা ভাবনা, সমকামিতা এবং নাস্তিকতাকে ‘চরমপন্থী ভাবনা’ হিসাবেই তালিকাভুক্ত করল সৌদি প্রশাসন।
সৌদির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে নারীবাদী চিন্তাভাবনা, সমকামিতা এবং নাস্তিকতার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘এমন চরমপন্থা এবং বিকৃত মনস্কতা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ নারীবাদ, সমকামিতা এবং নিরীশ্বরবাদের মতো ধারণাগুলিকে ‘তাকফির’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ওই ভিডিয়োতে। যার অর্থ ওই সব ধারণা ধর্মের পরিপন্থী। একই সঙ্গে নাগরিকদের সতর্ক করে ভিডিয়োতে বলা হয়েছে, ‘‘ভুলে যাবেন না, দেশের বিনিময়ে কোনও কিছু অতিরিক্ত করলে তাকে চরমপন্থা হিসাবেই গণ্য করা হবে।’’
অথচ, বিদেশি পুঁজি টানতে, সামাজিক বিধি নিষেধ তোলার ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ করছেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমান। সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। নারীদের বাধ্যতামূলক ভাবে অভিভাবক থাকার মতো নিয়মও খারিজ করে দিয়েছে রিয়াধ। কিন্তু, সেই সৌদি আরবেই সরকারের সমালোচকদের উপর দমন পীড়নের অভিযোগ উঠেছে বার বার। কয়েক সপ্তাহ আগেই নারীদের অধিকারের দাবিতে সরব বেশ কয়েকজনে আটক করা হয়েছে। সমাজকর্মী ও কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছে, সরকার যতটা চায় সৌদি সমাজ ব্যবস্থার দরজা ঠিক ততটাই খুলবে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় গবেষকের নাগরিকত্বের আবেদন খারিজ, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ব্রিটেনে
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের ঢেউ ঝাড়খণ্ডে! একা লড়ার ঘোষণা এলজেপির, ভাঙনের মুখে এনডিএ
সৌদি আইন অনুযায়ী, সমকামিতা ও নাস্তিকতা বেআইনি। অভিযোগ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই কিছু সংগঠনকে ‘চরমপন্থী’ তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। সৌদি রাজতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, জনসমক্ষে প্রতিবাদ জানানো এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপও নিষিদ্ধ।