জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স।
আমেরিকার ভাবী প্রেসিডন্ট জো বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে দেশ জুড়ে। আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন। তার আগেই সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সতর্কবার্তা দিয়েছে অনুষ্ঠানের দিন ওয়াশিংটন-সহ দেশের ৫০টি স্টেটসে হামলা চালাতে পারে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা।
ফের হামলা হওয়ার আশঙ্কায় ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ডের ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না হয় সে কারণে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটনকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখা হবে বলে ন্যাশনাল গার্ড সূত্রে খবর।
ন্যাশনাল গার্ড-এর প্রধান ড্যানিয়েল হোকানসন জানিয়েছেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ১০ হাজার সেনা পাঠানো হবে। তাদের মূলত নিরাপত্তা, পরিবহণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নজরাদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। পরে আরও সেনা পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে সরাতে যুক্ত শিশু যৌন নিগ্রহকারীরা? ভুয়ো তত্ত্ব বলে ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট সরাল টুইটার
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান এবং যাঁর নিরাপত্তা নিয়ে এত সাজ সাজ রব গোটা ওয়াশিংটনে, সেই জে বাইডেন কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার। বরং বলেছেন, “ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের বাইরেও শপথ নিতে আমার ভয় নেই।” প্রথা অনুযায়ী নতুন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ময়দানে।
গত ৭ জানুয়ারি ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক। সেই ঘটনা নিয়ে তেতে রয়েছে গোটা আমেরিকা। নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জোরালো হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁর ইমপিচমেন্টেরও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
গোয়েন্দাদের ধারণা, এই সব পদক্ষেপ ট্রাম্প সমর্থকদের আরও ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে। আরও একটা হামলা চালানোর ছক কষতে পারেন তাঁরা। এমন আশঙ্কা করেই এফবিআই আগেভাগেই সতর্ক করল আমেরিকার প্রশাসনকে।