চিন কখওনই স্বীকার করেনি যে তারা করোনাভাইরাসের উৎস। প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের উৎস কি চিন? অতিমারির গোড়া থেকেই এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোভিড সংক্রমণের খবর প্রথম মিলেছিল চিনের উহান থেকে। কিন্তু তাদের দাবি, সংক্রমণের খবর প্রথম চিন থেকে পাওয়া গেলেও ভাইরাসের উৎস তারা নয়। এ নিয়ে একাধিক তদন্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তদন্তকারী দল উহানে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে। কিন্তু উত্তর মেলেনি। সম্প্রতি আমেরিকার শক্তি মন্ত্রকের একটি তদন্ত-রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে এক স্থানীয় দৈনিক। তাতে দাবি করা হয় যে, উহানের গবেষণাগার থেকেই দুর্ঘটনাবশত ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। তার দু’দিনের মাথায় আজ প্রথম মুখ খুলল এই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত আমেরিকার গোয়েন্দাসংস্থা ‘ফেডেরাল বুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (এফবিআই)। তারা জানাল, তাদের বিশ্বাস উহানের ল্যাবই কোভিডের উৎস।
এফবিআই-এর ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার ওরে বলেন, ‘‘আমাদের সংস্থা বেশ অনেক দিন ধরে ঘটনার পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, খুব সম্ভবত উহানের গবেষণাগার থেকেই দুর্ঘটনাবশত ভাইরাস ছড়িয়েছিল।’’ একটি আমেরিকান টিভি চ্যানলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওরে জানিয়েছেন, এফবিআই-এর একটি বিশেষ দল রয়েছে। তাদের কাজই হল, কোনও বিপজ্জনক জীবাণু, যা অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে বা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে, তা ‘ভুল হাতে’ যাচ্ছে নাকি, সে দিকে নজর রাখা। ওরে এ-ও জানান, এ বিষয়ে বিশদে কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ তদন্ত সংক্রান্ত বেশিরভাগ নথিপত্রই সরকারি প্রয়োজনীয়তায় গোপন রাখতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রিপোর্ট যা-ই হোক, চিন সরকারের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত কাজ করা খুব মুশকিল। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, ওরা বিষয়টাকে অস্পষ্ট করে রাখছে। তদন্ত যাতে ভাল মতো নয়, তার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’’
চিন কখওনই স্বীকার করেনি যে তারা করোনাভাইরাসের উৎস। আমেরিকার শক্তি মন্ত্রকের রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসার পরেও চিন জানিয়েছে— ‘‘সার্স-কোভ-২-এর উৎস সন্ধান করা হলে, তা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করা উচিত, রাজনীতি করে নয়।’’