বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ইরান সফরের আগে এসেছিল ভুয়ো চিঠি। ছবি: পিটিআই।
একটি ভুয়ো চিঠি। তাকে ঘিরেই কূটনৈতিক চাপান-উতোর।
ভারতের অভিযোগ, গত মাসে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ইরান সফরের আগে ইসলামাবাদ একটি ভুয়ো চিঠি পাঠিয়ে নয়াদিল্লি-তেহরান সম্পর্কে চোনা ফেলতে চেয়েছিল। সিএএ নিয়ে ইরানের বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা উদ্বিগ্ন — এই মর্মে একটি চিঠি আসে। বিষয়টি নিয়ে জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের আর্জিও জানানো হয় সেই চিঠিতে। পরে ইরান কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে বলেন, যে এ রকম কোনও চিঠি তাঁদের দেশ থেকে যায়নি। তেহরান এবং জাহেদান-এ সত্তর থেকে পঁচাত্তরটি ভারতীয় পরিবার বসবাস করে, যাদের বেশিরভাগই শিখ। প্রায় ১২০ বছর ধরে তাঁরা সেখানকারই বাসিন্দা। তাঁদের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনও চিঠি পাঠানোর সম্ভাবনা নেই।
চিঠিটি সত্যিই পাকিস্তানের কাছ থেকে এসেছে, নাকি ভারতেরই এটি কোনও কৌশল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সিএএ নিয়ে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলির মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়া, তুরস্ক প্রবল সমালোচনা করেছে আইনটির। ফলে ভবিষ্যতে যদি ইরান বা অন্য কোনও মুসলিম দেশ থেকে কোনও বিরোধিতামূলক চিঠি আসেও, তা হলে সেটিকে এই ভুয়ো চিঠির দৃষ্টান্ত দেখিয়ে পাক ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দিতে পারে নয়াদিল্লি—এমনটাও মনে করছেন কিছু কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: চিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ভারতীয় শিক্ষিকা, চিকিৎসার খরচ মেটাতে চাইছেন অর্থ সাহায্য