প্রতীকী ছবি।
বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে দক্ষিণপন্থীদের মোট ৯০০টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল ফেসবুক। এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সরিয়ে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে কমপক্ষে ৫০০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। বাকিগুলি ইনস্টাগ্রামের।
গত ২৭ মে মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশি অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে গোটা আমেরিকায় বর্ণবৈষম্য-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনের ঢেউ উঠেছিল। এই ধরনের বেশ কয়েকটি বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এই সব দক্ষিণপন্থীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছিল, এই সব হামলাকারী আবার ‘প্রাউড বয়েজ’, ‘আমেরিকান গার্ড’-এর মতো বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্য। গত সপ্তাহে সিয়্যাটলে বর্ণবিদ্বেষ-বিরোধী এক সমাবেশে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ উঠেছিল এই সব গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। ফেসবুকের মাধ্যমে বিদ্বেষ ও ঘৃণামূলক বার্তা ছড়ানোর জন্য তাঁদের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র। একই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়েছেন, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও বিদ্বেষমূলক বার্তার ছবি পোস্ট করে মানুষকে হুমকি দেওয়ার জন্য ফেসবুকের মতো মাধ্যম কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।
গত কালই ওকল্যান্ডে এক নিরাপত্তারক্ষীর খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দুই দক্ষিণপন্থীকে।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মার্কিন নাগরিকদের অ্যাকাউন্টে একগুচ্ছ বদল আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার মার্ক জ়াকারবার্গ। যার জন্য লঞ্চ করা হচ্ছে ‘ভোটিং ইনফরমেশন সেন্টার’ নামে একটি বিশেষ বিভাগ। যেখানে প্রাদেশিক কর্তাদের কাছ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ অতিমারি নিয়েও একই ধরনের কাজ করেছে ফেসবুক।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ‘ভুল তথ্য’ সরানো হবে না বলে অনড় জ়াকারবার্গ। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক কর্ণধারের এখনও প্রবল সমালোচনা চলছে। জ়াকারবার্গের অবশ্য স্পষ্ট কথা, ‘‘জানি আমার কিছু সিদ্ধান্ত অনেকেরই পছন্দ নয়। তবে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল তা যাচাই করার একমাত্র অধিকার রয়েছে ভোটদাতার। একমাত্র নিজের ভোটের মাধ্যমেই তাঁরা সব রাজনীতিকদের মিথ্যাচারের জবাব দিতে পারেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’’