ওয়াশিংটনে মার্ক জাকারবার্গ। ছবি রয়টার্স।
দীর্ঘ জল্পনার অবসান। নাম বদলে গেল ফেসবুকের। বৃহস্পতিবার ফেসবুক সংস্থার বার্ষিক সম্মেলনে নতুন নাম ঘোষণা করলেন জাকারবার্গ। ফেসবুকের নতুন নামকরণ হল ‘মেটা’। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটল ফেসবুকের। জাকারবার্গ বলেন, “সামাজিক সমস্যা নিয়ে লড়াইয়ের মধ্যে থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। একটা সীমার মধ্যে বদ্ধ ছিলাম। এ বার সেই সীমা ছাড়িয়ে নতুন পর্যায়ের সফর শুরু হয়েছে।”
ফেসবুকের নাম বদল হতে পারে, এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই একটা আলোচনা চলছিল। কিন্তু কী নাম রাখা হবে তা নিয়ে কখনওই প্রকাশ্যে কিছু বলেনি জাকারবার্গের সংস্থা। তবে নেটমাধ্যমে আটকে না থেকে তার পাশাপাশি নানা পরিসরে ফেসবুকের বিস্তারের ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছিলেন জাকারবার্গ। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বা অধিবাস্তব নিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন তিনি। তখন কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও ফেসবুকের নাম যে ‘মেটাভার্স’ই হতে চলেছে সেটা কেউ আঁচ করতে পারেননি। অবশেষে সেই নামই রাখা হল ফেসবুকের।
এখন থেকে নতুন রূপে ফেসবুক। ছবি: রয়টার্স।
অধিবাস্তবের সেই দুনিয়ার নাম ‘মেটাভার্স’। যা ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং আগের ফেসবুকের তুলনায় অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক। আমেরিকার বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা ফেসবুক ইনকর্পোরেশন নাম বদলালেও তার ফেসবুক অ্যাপটির নাম বদলায়নি। ইনস্টাগ্রাম, ওকুলাস, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ফেসবুক অ্যাপটিও থাকছে বলে জানিয়েছেন জাকারবার্গ।
১৭ বছর আগের হার্ভার্ড কলেজে নিজের নাম পেয়েছিল ফেসবুক। কলেজের ছাত্রদের দেওয়া ফেসবুক ডিরেক্টরিজ থেকেই হয় নামকরণ। সেই নাম এ বার বদলাল। আসলে ফেসবুক যে শুধু একটি নেটমাধ্যম সংস্থা নয়, তা বোঝাতেই এই নামবদল।