Meta

উটপাখির ডিমের পুঁতিই ‘ফেসবুক’

 সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে এই তথ্য।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১০
Share:

প্রতীকী ছবি

আজ থেকে প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে, আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাংশের মানুষেরও ছিল নিজস্ব ‘ফেসবুক রিয়্যাকশনস’। একটাই পার্থক্য, বর্তমানের ফেসবুক রিয়্যাকশনের মতো সেগুলো ভার্চুয়াল ছিল না, কারণ সেগুলো তৈরি ছিল উটপাখির ডিমের খোলা দিয়ে। আরও ভাল করে বলতে গেলে, অস্ট্রিচ থুড়ি উটপাখির ডিমের খোলা দিয়ে তৈরি পুঁতি দিয়ে।

Advertisement

সম্প্রতি নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে এই তথ্য। গবেষকদের ধারণা, প্রথমে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণাংশে এই পুঁতির অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও মূলত পূর্বদিকের প্রদেশগুলি থেকেই এই পুঁতি ব্যবহারের সূচনা। গবেষকদের দাবি, মূলত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে এই পুঁতি ব্যবহার করা হত। আরও বিশদে বললে, এগুলি ছিল বন্ধুত্বের চাবিকাঠি। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় থেকে দূর-দূরান্তের বন্ধু, সকলের সঙ্গেই এই পুঁতির আদানপ্রদান করা হত। যার কাছে যত বেশি পুঁতি, তার সামাজিক জীবন ততই রঙচঙে— এমনটাই সম্ভবত ভাবতেন তৎকালীন মানুষেরা। আর এখানেই খানিকটা মিল পাওয়া যায় বর্তমান যুগের সমাজমাধ্যমের সঙ্গে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, কেউ হয়তো নিজের কাছাকাছি কাউকে ওই বিশেষ পুঁতি দিল। সে হয়তো শিকার করতে গিয়ে সেই পুঁতিটা খানিক দূরে বসবাসকারী কাউকে দিল— এ ভাবেই বিভিন্ন স্থানের মানুষের মধ্যে তৈরি হত এক সামাজিক নেটওয়ার্ক।

আজ থেকে প্রায় ৩৩ হাজার বছর আগে এই বিনিময় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ধীরে-ধীরে ভেঙে পড়ে এই সামাজিক ‘নেটওয়ার্ক’টি।’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement