Coronavirus

Coronavirus: দেড় দিনেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ ব্রিটেনে! উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা

গত জানুয়ারিতেই ব্রিটেনে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে শুরু হওয়ার আগে দিনে চার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০১
Share:

ফাইল চিত্র।

সময় লেগেছে মাত্র দেড় থেকে দু’দিন। এর মধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটেনে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র!

Advertisement

সরকারি সংগঠন ‘সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজ়রি গ্রুপ ফর ইমার্জেন্সিস’ (সেজ)-এর দাবি, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সরকারি পরিসংখ্যানে তা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। সেজের বক্তব্য, ‘‘সায়েন্টিফিক মডেল থেকে যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে ওমিক্রন সংক্রমণের চূড়ায় পৌঁছলে ইংল্যান্ডের হাসপাতালে দৈনিক তিন হাজার রোগী ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। একমাত্র যদি না এখন থেকেই কোভিড বিধি নিয়ে আরও কড়াকড়ি চালু করা হয় প্রশাসনের তরফে।’’ প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতেই ব্রিটেনে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে শুরু হওয়ার আগে দিনে চার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হতেন।

ব্রিটিশ প্রশাসনের অন্দরের খবর, আধিকারিকেরা এমন এক খসড়া তৈরি করছে যা অনুমোদন পেলে ইংল্যান্ডে বড়দিনের পরে টানা দু’সপ্তাহ কড়া বিধিনিষেধ চালু হতে পারে। তখন বাড়ির ভিতরেও পার্টি বা জমায়েত বন্ধ রাখতে হবে। বাড়ির বাইরে ছ’জনের বেশি ভিড় করা যাবে না। এর মাঝেই জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সপ্তাহান্তে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসার কথা বরিস জনসনের।

Advertisement

অতিমারির শুরু থেকে এই প্রথম এই হারে সংক্রমণ দেখছে ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সে দেশে সাত ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই নিয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। সরকারি হিসাবে ওমিক্রনে মৃত্যু এখনও এক। এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৬৫ থেকে বেড়ে ৮৫ হয়ে গিয়েছে।

বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে লাগাম দিতে উদ্যোগী নেদারল্যান্ডস সরকারও। প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতে জানিয়েছেন, বড়দিনের সময়ে দেশ জুড়ে কড়া লকডাউন জারি করা হবে। ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রিটেন থেকে যাত্রীদের আগমন নিষিদ্ধ করল জার্মানি। রবিবার সন্ধে থেকেই চালু হচ্ছে এই নিয়ম। তবে জার্মান নাগরিকদের জন্যে কিছু ছাড় রয়েছে। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে তাঁরা দেশে ঢুকতে পারবেন। তবে তার পরে দু’সপ্তাহ বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনে থাকতে হবে।

এ দিকে, ২০২০ সালে অতিমারি শুরুর সময়ে আমেরিকায় সংক্রমণের অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিউ ইয়র্ক। এ বারও জল ফের সে দিকেই গড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রে দিন দিন ভিড়ের বহর বাড়ছে। যা সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ব্রুকলিন এলাকায় একের পর এক বন্ধ হচ্ছে রেস্তরাঁ। নিউ ইয়র্কে শনিবারও রেকর্ড গড়ল সংক্রমিতের সংখ্যা। এই নিয়ে টানা দু’দিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement