ফের স্বমেজাজে ইমরান খান। ছবি রয়টার্স।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে গত বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পায়ে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন তিনি এবং তাঁকে লাহোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই ইমরানই রবিবার জানালেন, ওয়াজিরাবাদের ওই জায়গা থেকেই ফের পদযাত্রা শুরু করবে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে ইমরান বলেন, “আমরা ঠিক করেছি, যেখানে আমার উপর এবং আমার ১১ জন সঙ্গীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল, সেখান থেকেই মঙ্গলবার আমাদের পদযাত্রা শুরু করব।” পায়ে চোট থাকায় এখনই পদযাত্রাকে নেতৃত্ব দিতে না পারলেও রাওয়ালপিন্ডি থেকে তিনি নিজেও পদযাত্রায় পা মেলাতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে তাঁর কথায়। ইমরান এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি লাহোরে বসেই দূর থেকে পদযাত্রাকে নেতৃত্ব দেব। আশা করছি ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে পদযাত্রা রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছে যাবে। তখন আমি ওখান থেকে পদযাত্রায় হাঁটব এবং নেতৃত্ব দেব।”
শুক্রবারই ইমরান দাবি করেছিলেন যে, দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে কিংবা রক্তাক্ত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে পরিবর্তন আসবে বলে জানান এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। তাঁর উপর ‘হামলা’ চালানোর পরদিনই ইমরান দাবি করেছিলেন যে, পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার আগেই তিনি জানতেন ওয়াজিরাবাদ কিংবা গুজরাতে তাঁর উপর ‘হামলা’ চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাক পঞ্জাব প্রদেশের গুজরনওয়ালার আলওয়ালা চকে একটি এসইউভিতে সওয়ার ইমরান তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে লং মার্চে যোগদানের আবেদন জানাচ্ছিলেন। সে সময় এক ব্যক্তি এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে গুরুতর আহত হন ইমরান এবং তাঁর সঙ্গীরা। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ লং মার্চ শুরু করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। দলের সব নেতা, কর্মী ও সমর্থককে লাহোরের লির্বাটি চকে সমবেত হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাঁরা সকলে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার হেঁটে ইসলামাবাদে যাচ্ছিলেন। সেই কর্মসূচির অংশ হিসাবেই ওয়াজিরাবাদের অদূরে গুজরনওয়ালায় দলীয় সমর্থকদের সমাবেশে যোগ দেন ইমরান। সেখানেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।