European union

পর্যটনের সুবিধায় ভাবনা ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’-এর 

তবে আপাতত নিজেদের ব্লকের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোয় সফরের ক্ষেত্রেই এই বিশেষ পাসপোর্ট চালু করার কথা ভাবছে ইইউ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২১ ০৬:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

জোরকদমে কোভিডের টিকাকরণ চলছে ইউরোপের প্রায় সব দেশে। বাসিন্দাদের অনেকেই টিকার দু’টি ডোজ় নিয়ে ফেলেছেন। এই অংশের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ‘ডিজিটাল গ্রিন সার্টিফিকেট’ বা ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ চালু করার প্রস্তাব এনেছে তারা। এর ফলে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের বিদেশ সফরে আর কোনও বাধা থাকবে না। অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বাধীন ও নিরাপদ পর্যটনের উদ্দেশেই এই উদ্যোগ।

Advertisement


তবে আপাতত নিজেদের ব্লকের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোয় সফরের ক্ষেত্রেই এই বিশেষ পাসপোর্ট চালু করার কথা ভাবছে ইইউ। এতে লেখা থাকবে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোভিড সংক্রান্ত ইতিবৃত্তান্ত। সেই ব্যক্তির কখনও করোনা হয়েছিল কি না, বর্তমানে সে করোনা-নেগেটিভ কি না, ভ্যাকসিন নিয়েছেন কি না, যাবতীয় সব। আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইৎজারল্যান্ড ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সার্টিফিকেটটি ব্যবহারে তাদের সায় আছে। ব্রিটেনও নিজেদের মতো করে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ শুরুর কথা ভাবছে। আসন্ন গ্রীষ্মে পর্যটনের মরসুম স্বাভাবিক করতে চায় তারা।


২৫ মার্চ এ নিয়ে বৈঠকে বসবে ইইউ। ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ইউরোপের দেশগুলি একে অন্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে, ধীরে ধীরে করোনা-সংক্রান্ত কড়াকড়ি কমাতে চায়। ইউরোপের দেশগুলোতে একসঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, সব দেশের মধ্যে অবাধ যাতায়াত। যেমন, ইটালিতে প্রথম সংক্রমণ ছড়ায় পর্যটকদের থেকে। সন্দেহ করা হয়, চিন ফেরত এক জার্মান পর্যটকের থেকে প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ইটালিতে। ইইউ-এর স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকাইডস বলেন, ‘‘আমরা একযোগে একটা পদক্ষেপ করতে চাইছি। যাতে ধীরে ধীরে ইউরোপের দরজা খুলে দেওয়া যায়। এই মহাদেশের পরিস্থিতি এখনও খুব কঠিন। লক্ষ্য হল, টিকাকরণের মাধ্যমে ইউরোপের মধ্যে যাতায়াত ক্রমশ অবাধ করে দেওয়া।’’ পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ ব্যাপক সাহায্য করবে বলে আশা আইসল্যান্ডের। তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ় নেওয়া হয়ে গেলে সে-দেশে ঢুকতে আর বাধা দেওয়া হবে না। সীমান্তে কোনও কড়াকড়িও সহ্য করতে হবে না পর্যটকদের। অর্থাৎ কি না, করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। কোয়রান্টিনও থাকতে হবে না।

Advertisement


ভ্যাকসিনে ভরসা রেখে এ ভাবেই ক্রমশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথা ভাবছে ইউরোপ। ইটালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোবের্তো স্পেরেনজ়া বলেন, ‘‘প্রতিষেধকের উপর ভরসা এখনও টলেনি।’’ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার কোভিড টিকা চ্যাডক্স১ সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছে ইটালি। ইউরোপিয়ান মেডিক্যাল এজেন্সি ফের সম্মতি দিলেই এই টিকা প্রয়োগ ফের শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা। ফ্রান্সেও আপাতত চ্যাডক্স১ প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও অস্ট্রিয়া, নরওয়ে, আইসল্যান্ড-সহ দশের বেশি ইউরোপীয় দেশ চ্যাডক্স১-এর উপরে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।। কিছু রোগীর দেহে রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত যা খবর, চ্যাডক্স১ টিকার প্রভাবেই যে রক্ত জমাট বেধেছিল, কোথাও তেমন প্রমাণ মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement