শুক্রবার লন্ডনের এক টিকাকরণ কেন্দ্রে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেখানে এক টিকাপ্রাপককে ব্যাজ পরিয়ে দেন তিনি। ছবি রয়টার্স।
গত মাসেই সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাশিয়ায়। এক মাসে ৪৪ হাজার মৃত্যু দেখেছে সে দেশ। জার্মানির হালও সঙ্কটজনক। এক লক্ষ মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জার্মান সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গোটা ইউরোপকেই ভুগতে হবে এই শীতে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পাঁচ লক্ষ মৃত্যু হতে পারে এই মহাদেশে। সবচেয়ে ভয়ের, সমস্ত পূর্বাভাসই মিলে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে গোটা বিশ্বের মোট সংক্রমণের অর্ধেকের বেশি ঘটেছে ইউরোপে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, রোমানিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। হু জানিয়েছে, ইউরোপে করোনায় মৃত্যু গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঘটছে নেদারল্যান্ডসে। অথচ এ দেশে ৮৫ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নেদারল্যান্ডসে ১৬,৩৬৪ জন্য সংক্রমিত হয়েছেন। যা অতিমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত, সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় নেদারল্যান্ডস সরকার তিন সপ্তাহের জন্য আংশিক লকডাউন ঘোষণা করতে চলেছে। অতি-প্রয়োজনীয় নয়, এমন সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। বিভিন্ন খেলার টুর্নামেন্টগুলোও বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
অস্ট্রিয়া সরকার জানিয়েছে, যাঁদের টিকাকরণ হয়নি, তাঁদের গতিবিধিতে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। অস্ট্রিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। অস্ট্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে জার্মানি। জার্মানিতেও নয়া করোনা-বিধিতে জানানো হয়েছে, টিকা নেওয়া না-থাকলে পানশালা, রেস্তরাঁ বা কোনও বদ্ধ জায়গায় ঢোকা যাবে না।
নতুন সংক্রমণ ঢেউ থেকে বাঁচতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু করছে নরওয়ে। যাঁরা টিকা নেননি এখনও, তাঁদের সপ্তাহে দু’বার করোনা-পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নরওয়েতে ৮৭ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।