ফাইল ছবি
মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি আফ্রিকার। ইউরোপেও রোগ ছড়িয়েছে। কিন্তু এই মহাদেশে এ পর্যন্ত প্রাণহানির খবর নেই। রোগের ভয়াবহতাও তুলনায় কম। কিন্তু আফ্রিকার পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বের। এ অবস্থায় আজ মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ রোধে স্মলপক্সের টিকা ব্যবহারে অনুমতি দিল ইউরোপীয় কমিশন। ডেনমার্কের স্মলপক্সের টিকাপ্রস্তুতকারী সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইমাভানেক্স। বাজারে স্মলপক্সের এই টিকা বিক্রির ছাড়পত্র দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। তাদের নজরদারি সংস্থা ‘বাভেরিয়ান নর্ডিক’ একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স থেকে নিরাপত্তা দিতে এই ব্যবস্থা। তবে এই অনুমতি রয়েছে শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলিতে এবং আইসল্যান্ড, লিখটেনস্টাইন ও নরওয়েতে।
হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭২টি দেশে অন্তত ১৬ হাজার মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। শনিবার একে গোটা বিশ্বের জন্য বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে হু। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ-ও জানানো হয়েছে, রোগের চরিত্র অনুযায়ী, কোনও মাঙ্কিপক্স সংক্রমিতের কাছাকাছি এলে তাঁর থেকে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন।
স্মলপক্স প্রতিরোধে ২০১৩ সাল থেকে ইমাভানেক্স ব্যবহারে অনুমোদন রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে। যেহেতু স্মলপক্স ভাইরাস ও মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের চরিত্রে মিল রয়েছে, তাই এটিকে মাঙ্কিপক্সেরও সম্ভাব্য প্রতিষেধক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তবে স্মলপক্সের থেকে কম বিপজ্জনক ও কম সংক্রামক মাঙ্কিপক্স। ১৯৮০ সালের পর থেকে আর স্মলপক্সের ঘটনা শোনা যায়নি। পৃথিবী থেকে এই ভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
মাঙ্কিপক্সের প্রথম উপসর্গ হল, জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, পিঠে ও মেরুদণ্ডে ব্যথা। ধীরে ধীরে মুখে, হাতের পাতায়, পায়ের তলায় দানা দানা র্যাশ বেরোতে শুরু করে। ক্রমে ঘা। দাগ হতে শুরু করে। এর পর খোসা ওঠা। মে মাসের গোড়ায় পশ্চিম ও সেন্ট্রাল আফ্রিকার দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের কথা শোনা যায়। সেই শুরু। ক্রমে মহামারির আকার নেয় এই রোগ।