ইদানীং সম্পত্তির মালিকানার ব্যাপারে অনীহা দেখা গিয়েছে এলনের, জানিয়েছেন মায়ে মাস্ক। ফাইল চিত্র।
বিশ্বের ধনী তালিকায় তাঁর নাম শীর্ষে। অথচ সেই এলন মাস্কের বাড়িতে তাঁর মায়ের শোওয়ার ঘর জোটে না! ধনকুবের ছেলের খোঁজখবর নিতে মাঝেমধ্যে এলনের মা মায়ে মাস্ক এসে হাজির হন তাঁর বাড়িতে। সে সময় নাকি তাঁকে বাধ্য হয়েই ঘুমোতে হয় বাড়ির গ্যারাজে। অন্তত মায়ে তা-ই জানিয়েছেন এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে।
এলনের মতো না হলেও তাঁর মা এক জন তারকা। ৭৪ বছরের মায়ে পেশায় মডেল আবার সমাজকর্মী হিসাবেও পরিচিতি আছে তাঁর। মায়ে বলেছেন, বেশ কিছু দিন আগেই তিনি ছেলে এলনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন টেক্সাসে। স্পেসএক্সের সদর দফতরে এলনের জন্য নির্দিষ্ট বাড়িতে তখন থাকছিলেন এলন। সেখানেই আলাদা ঘর না থাকায় গ্যারাজে রাত কাটাতে হয় ধনকুবেরের মাকে। অবশ্য মায়ে তা নিয়ে বিশেষ আফশোস করেননি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছেলে এলনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছিলেন মায়ে। কথা প্রসঙ্গে ছেলের বাড়িতে যাওয়া এবং গ্যারাজে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতার কথা জানালেও মায়ে বলেছেন, তাঁকে গ্যারাজে ঘুমোতে হয়েছে তার কারণ স্পেসএক্সের সদর দফতরে ছেলের বাড়িটি ছোট। কেন ছোট তার কারণ জানিয়ে মায়ে বলেন, ‘‘যেখানে দিনরাত রকেট তৈরির কাজকারবার চলছে সেখানে বিশ্বের যতবড় ধনীই হোন, তার জন্য অট্টালিকা বানানো সম্ভব নয়।’’ আর তিনি সেটা বোঝেন। তবে একই সঙ্গে মায়ে জানিয়েছেন, শুধু এই বাড়িটি ছোট বলে নয়, এমনিতেই এলনের ইদানীং বাড়ি বা সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে কিছুটা অনীহা দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত এ বছরের শুরুতেই এলন বলেছিলেন, তাঁর আর নিজের কোনও বাড়ি নেই। তিনি বন্ধুর বাড়িতে থাকেন। স্পেসএক্সের সিইও আরও বলেছিলেন, ‘‘আমি প্রায় আমার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করেছি। কোনও বাড়ি রাখব না আমার নামে। কারণ সম্পত্তি আমাদের ভারী করে দেয়। আর সেই ভার সর্বদা নীচের দিকেই টানে।’’ এলন জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি বলতে স্পেসএক্সের সদর দফতরের একটি ভাড়া বাড়ি। যার মূল্য ৫০ হাজার ডলার।