পরাগ অগ্রবাল এবং ইলন মাস্ক।
টুইটার কিনবেন না এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর অসুবিধার কথা টুইটার প্রধান পরাগ অগ্রবালকে জানিয়েছিলেন ইলন মাস্ক। একটি ফোন বার্তায় টুইটারের ভারতীয় সিইও পরাগকে ইলন বেশ কড়া সুরেই বলেছিলেন টুইটারের আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।
তখনও টুইটার না কেনার সিদ্ধান্ত নেননি ইলন। তবে তিনি খোঁজখবর চালাচ্ছেন। টুইটার কেনার আগে তার বিষয়-আশয় এবং আড়াল-আবডালে থাকা অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে খবর নিচ্ছেন। আদালতকে এলন জানিয়েছেন, যে কোনও সংস্থা কেনার আগে তিনি এটুকু খোঁজখবর করেই থাকেন। চুক্তিতেও সে কথা বলা ছিল। কিন্তু টুইটার তাকে সহযোগিতা করেনি। সম্প্রতিই টুইটারের তরফে ইলনকে চুক্তিভঙ্গের জন্য দোষী ঠাওরে মামলা করা হয়েছে। যার জেরে প্রকাশ্যে এসেছে টুইটারের সিইও পরাগের সঙ্গে ইলনের একটি ফোন বার্তালাপ। যে খানে ইলন স্পষ্ট ভাষায় পরাগকে বলেছেন, টুইটারের আইনজীবীরা তাঁকে ইচ্ছে করে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করছেন। গত ২৮ জুন করা ওই ফোন বার্তায় পরাগকে মাস্ক লিখেছেন, ‘সংস্থা সম্পর্কে টুইটারের আইনজীবীদের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা সেই বার্তালাপগুলিকে ব্যবহার করে আমায় সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।’
উল্লেখ্য, জুন মাসেই টুইটারের বিরুদ্ধে চুক্তি না মানার অভিযোগ এনেছিলেন টেসলা প্রধান। সেই সময়েই ইলন বলেছিলেন চুক্তি না মানলে তিনিও টুইটার কেনার সিদ্ধান্তও বদলাবেন। মাস্ক অভিযোগ করেছিলেন, টুইটার জেনে বুঝে তাঁর সংস্থাটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের অধিকারে বাধা দিচ্ছে। অন্য দিকে, এলন তাঁর টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত বদলানোর পর টুইটারের তরফে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনা হয় ইলনের বিরুদ্ধে। টুইটার আদালতকে জানায়, ইলন তাঁর মর্জিমাফিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাঁকে চুক্তি মেনে নির্ধারিত অর্থেই টুইটারের শেয়ার কিনতে হবে।