প্রতীকী ছবি।
নিজেদের একশো ভাগ করোনামুক্ত ঘোষণা করেছিল নিউজ়িল্যান্ড। ১০২ দিন ‘সুস্থ’ থাকার পরে গত সপ্তাহে ফের সংক্রমণ ফিরে আসায় ভোট পিছিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন। সোমবার তিনি ঘোষণা করেছেন, চার সপ্তাহ পিছিয়ে অক্টোবরের ১৭ তারিখ ভোট হবে দেশে।
প্রথমে ঠিক ছিল ভোট হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। কিন্তু গত মঙ্গলবার বিদেশ থেকে আসা অকল্যান্ডের দুই মহিলার দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। রবিবারের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হয়ে যাওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয় দেশের বৃহত্তম শহরটিতে। প্রধান বিরোধী দল ‘ন্যাশনাল পার্টি’র পাশাপাশি জোটসঙ্গী ‘দ্য গ্রিনস’ ও ‘নিউজ়িল্যান্ড ফার্স্ট’ থেকেও নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চাপ আসতে থাকে। বিরোধীরা বলতে থাকেন, করোনার বিধিনিষেধের জেরে তাঁরা প্রচার করতে পারছেন না, যাতে আখেরে লাভ হচ্ছে জেসিন্ডারই। নিজের দল লেবার পার্টি ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে তাই ভোট পিছিয়ে দেওয়াই সঙ্গত মনে করেন জেসিন্ডা। তিনি বলেছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের জেরে সব দলই প্রচারের জন্য আরও ন’সপ্তাহ সময় পাবে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তা দেখারও সময় পাবে কমিশন।’’
এখনও পর্যন্ত যা ছবি, তাতে জেসিন্ডার লেবার পার্টি কোনও জোটসঙ্গীর সমর্থন ছাড়াই নির্বাচন জিততে পারবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। জেসিন্ডার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সব দল।
বিশ্বে করোনা
মৃত ৭,৭৫,২৬৭
আক্রান্ত ২,১৯,৪৫,৯৭০
সুস্থ ১,৪৬,৬৩,১৭১
এ দিকে, করোনা ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বলিভিয়া সরকারের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পথে নেমেছেন দেশের মানুষ। রবিবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। কোভিডের জেরে ইতিমধ্যেই দু’দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মানুষ। ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে গত বছর প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করার পর থেকে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।