Pune Murder

লাড্ডুর লোভ দেখিয়ে দুই বোনকে ঘরে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাধা পেয়ে খুন, পুণেয় গ্রেফতার বাংলার রাঁধুনি

পুলিশ জানিয়েছে, পুণের রাজগুরুনগরে একটি বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকত দুই নাবালিকা। ওই বাড়িরই দোতলায় থাকতেন অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন থাকতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৮
Share:

পুণে থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত রাঁধুনি। প্রতীকী ছবি।

লাড্ডুর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা। ব্যর্থ হওয়ায় দুই বোনকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক রাঁধুনির বিরুদ্ধে। পুণের একটি লজ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুণের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রমেশ চোপাড়ে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুণে থেকে নিজের বাড়িতে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অভিযুক্ত। তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, পুণের রাজগুরুনগরে একটি বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া থাকত দুই নাবালিকা। ওই বাড়িরই দোতলায় থাকতেন অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন থাকতেন। তাঁরাও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পাঁচ দিন আগে বাকিরা তাঁদের বাড়িতে ফিরে এলেও থেকে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত রাঁধুনি। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই খেলছিল দুই বোন। তাদের বয়স যথাক্রমে ৯ এবং ৮। দুই নাবালিকার বাবা-মা কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল দুই বোন।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুই বোনকে লাড্ডু খাওয়ার জন্য ডাকেন অভিযুক্ত। তারা রাঁধুনির ঘরে ঢুকতেই বড় বোনকে শৌচাগারে ঠেলে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে আটকে দেন। এই দৃশ্য দেখে ছোট বোন চিৎকার করতে থাকে। অভিযোগ, তার মুখ বন্ধ করতে প্রথমে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরে রাখা জলের ড্রামের মধ্যে মাথা চুবিয়ে ধরেন। তাতেই মৃত্যু হয় আট বছরের মেয়েটির। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছোট বোনকে খুনের পর শৌচাগারের দরজা খুলে বড় বোনকে বার করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু সে-ও চিৎকার করতে থাকায় তাকে জলের ড্রামে মাথা চুবিয়ে ধরে রাখেন। তাতেই মৃত্যু হয় বড় বোনের। দু’টি দেহ ড্রামের ভিতরে রেখে কাপড় চাপা দিয়ে ঘর ছেড়ে পুণেতেই একটি লজে গিয়ে ওঠেন অভিযুক্ত।

Advertisement

রাতে দুই নাবালিকার বাবা-মা ফিরে তাদের খুঁজে না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ খোঁজ চালাতেই ওই বাড়ির দোতলায় রাঁধুনির ঘরে ড্রামের ভিতর থেকে দুই বোনকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরই রাঁধুনির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পুণের একটি লজ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement