আরিজোনার এক সুপারমার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে ব্রেন্ডার আলাপ হয় ৭৮ বছর বয়সি ডেনিস ডেলগাডোর সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স-স্থান-কাল-পাত্র নির্বাচন করে আর যাই হোক, প্রেমে পড়া যায় না। আমেরিকার এক সুপারমার্কেট এমনই এক মিষ্টি প্রেমের গল্পের সাক্ষী থাকল। ১৯ নভেম্বর সুপারমার্কেটের একটি দোকানেই চার হাত এক হল আরিজোনার এক বয়স্ক যুগলের। আংটিবদল থেকে শুরু করে বিয়ের সমস্ত রীতিও পালন করলেন তাঁরা। এই দোকানেই প্রথম দেখা হয়েছিল তাঁদের। পাত্রী ছিলেন নাছোড়বান্দা। যেখানে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল, সেখানেই বিয়ে করবেন তিনি— হবু বরের কাছে এমনটাই দাবি রেখেছিলেন পাত্রী।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পাত্রীর নাম ব্রেন্ডা উইলিয়ামস। ৭২ বছর বয়স তাঁর। আরিজোনার এক সুপারমার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়ে ব্রেন্ডার আলাপ হয় ৭৮ বছর বয়সি ডেনিস ডেলগাডোর সঙ্গে। সংবাদ সংস্থার এক সাক্ষাৎকারে ব্রেন্ডা বলেন, ‘‘আমি দোকানের মধ্যে রয়েছি, হঠাৎ দেখি আমার পিছনে দাঁড়িয়ে কে এসে বলছেন, মাস্ক পরার একটাই সুবিধা, পাশের লোককে হঠাৎ কোনও মন্তব্য করলে সে বুঝতে পারে না। ঠোঁট নড়লেও তা মাস্কের আড়ালেই থাকে।’’
তার পর চলে ব্রেন্ডা-ডেনিসের ক্ষণিকের আলাপপর্ব। কিছু ক্ষণ সময় কাটানোর পর ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন দু’জনে। কয়েক মাস একে অপরকে ডেট করার পর ব্রেন্ডার বাড়ির দরজার সামনে হাজির হন ডেনিস। ব্রেন্ডাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন তিনি। ব্রেন্ডা ভাবেন, ডেনিস মনে হয় নেশার ঘোরে রয়েছেন। কিন্তু ডেনিস জানান, ব্রেন্ডার জন্য বিয়ের আংটি কিনতে চান তিনি। ডেনিসের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ব্রেন্ডা। কিন্তু যে দোকানে তাঁদের দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল, সেই দোকানেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ব্রেন্ডা। অবশেষে ব্রেন্ডার ইচ্ছা মতোই দোকানের ভিতর বিয়ে করলেন ডেনিস-ব্রেন্ডা। দোকানের ক্রেতা-সহ কর্মীরা সাক্ষী রইলেন এক মিষ্টি প্রেমগাথার।