ফাইল ছবি
নিল আর্মস্ট্রংয়ের পরেই চাঁদে পা রেখেছিলেন তিনি। কোথায় পৃথিবীতে ফেরার পর ফুল, মালা, অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে, তা না, বিমান বন্দরে কাস্টমসের ফর্ম ভরে আর পাঁচজন যাত্রীর মতোই বেরোতে হল তাঁকেও। চাঁদ থেকে ফেরার পরে সেই অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি টুইটারে শেয়ার করলেন আর্মস্ট্রংয়ের সহযাত্রী এডুইন অলড্রিন। অভ্যর্থনা তিনি পাননি এমন নয়, তবে সাধারণ যাত্রীর মতো বিমানবন্দরের কাস্টমসের ফর্ম ভরার পর তবে বেরিয়েছিলেন তিনি।
মহাকাশযান অ্যাপোলো ১১-এর মডিউল ঈগলে করে চাঁদে গিয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী। প্রথম পা রেখেছিলেন নিল। তারপর এডুইন, টুইটারে যাঁর নাম উল্লিখিত বাজ অলড্রিন হিসাবে। তিনি চাঁদ থেকে ফেরার পরের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘একবার ভাবুন। আটদিন আমরা মহাকাশে কাটিয়েছি। প্রায় ২২ ঘণ্টা আমরা ছিলাম চাঁদে। পৃথিবীতে পৌঁছে বাড়ি ফিরতে হল কাস্টমসের ছাড়পত্র নিয়ে।’ এর সঙ্গেই কাস্টমসের ফর্মটিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোথা থেকে এসেছেন, সেই স্থানে লেখা রয়েছে ‘চাঁদ’। স্পষ্ট তারিখটিও, ২৪ জুলাই ১৯৬৯।
এই ফর্মে তিনজনের নাম রয়েছে, অলড্রিন ও আর্মস্ট্রং চাঁদে নামলেও যানেই ছিলেন মাইকেল কলিন্স। তাঁর নামও উল্লেখ করা হয়েছে এই ফর্মে। স্পেস ডট কমের খবর অনুসারে, ২০০৯ সালে এই ফর্মটি আমেরিকার কাস্টমস ও সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটি সত্যি। সেই সময়ে এই ঘটনা নিয়ে হাসি-ঠাট্টাও হয়েছিল।