মাজুমি শহরে ভেঙে পড়া হাসপাতালে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।
ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। শুক্রবার সকালে সুলায়েসি দ্বীপে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৬.২। কম্পনের উৎসস্থল ম্যাজিন শহরের উত্তর-পূর্বে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই কম্পনের ২৪ ঘণ্টা আগেও ওই দ্বীপে ৫.৯ মাত্রায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ফলে মনে করা হচ্ছে, এটা ভূকম্প পরবর্তী কম্পন বা ‘আফটার শক’। সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এর অভিঘাতে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ৭ জন। আহতের সংখ্যা অনেক। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মাজুমু শহরে একটি হাসপতাল ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু রোগী এবং কর্মী চাপা পড়ে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তাঁদের উদ্ধারে সেখানে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে।
সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে মামুজু এবং ম্যাজিন শহর। প্রাথমিক ভাবে ম্যাজিনে ৪ জন এবং মামুজু-তে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ মানুষ। তবে মৃত এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১টা নাগাদ প্রবল কম্পনে দুলে ওঠে সুলায়েসি দ্বীপ। প্রায় ৭ সেকেন্ড মতো কম্পন স্থায়ী হয়েছিল। আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ি, অফিস। প্রশাসন সূত্রে খবর, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও পর্যন্ত সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চলছে।