বর্জ্য দিয়ে তৈরি গাড়ি। নাম লুকা। ছবি—রয়টার্স।
এ যেন খানিকটা এ যুগের ‘কাটুম কুটুম।’ অবন ঠাকুরের মতো বাতিল বা ফেলে দেওয়া জিনিস কাজে লাগিয়ে নতুন আবিষ্কার করেছে ওরা। তবে, ফারাক হল, ওদের এই আবিষ্কার নিছক শিল্পের নান্দনিকতায় আবদ্ধ নয়, ভীষণরকম প্রায়োগিক মূল্যও রয়েছে। যে জন্যই এই সংবাদটি শোরগোল ফেলেছে নেটপাড়ায়।
কী সেই সংবাদ?
বিভিন্ন রকমের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ইলেকট্রিক গাড়ি বানিয়েছে নেদারল্যান্ডসের ছাত্ররা। দুই আসনের সেই গাড়ির নাম লুকা। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। সম্পূর্ণ চার্জ করলে ২২০ কিলোমিটার যেতে পারে লুকা।
দ্য টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ইন্দহোভেনের ২২ জন ছাত্র ১৮ মাস ধরে পরিশ্রম করে বানিয়েছে এই অভিনব গাড়ি। এই প্রকল্পের ম্যানেজার লিসা ফান এতেন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘এই গাড়ি সত্যিই অন্যরকম। কারণ, এটি সম্পূর্ণভাবে ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে তৈরি।’’ তিনি জানিয়েছেন, ফ্ল্যাক্স এবং পেট বোতল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাড়ির চ্যাসিস। টিভি, ইলেক্ট্রনিক্স খেলার মধ্যে যে সব শক্ত প্লাস্টিকের অংশ থাকে, সেগুলিও ব্যবহার করা হয়েছে গাড়ি তৈরিতে। নারকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সিটের গদি।
আগামী দিনে ফেলে দেওয়া জিনিস বিশেষ করে প্লাস্টিকের নানা উপকরণ ব্যবহার করে গাড়ি তৈরির দিকে প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি নজর দেবে বলে আশা করছেন লিসা। তাঁর কথায়, ‘‘লুকা দেখিয়ে দিচ্ছে বর্জ্য পদার্থের ক্ষমতা। আরও অনেক ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে বর্জ্যকে। আশা করি অনেক সংস্থা এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে।’’
তা হলে দেখলেন তো, এ যুগের ‘কাটুম কুটুম’-এর কামাল!