Luxemburg

চলছে পুজো-প্রস্তুতি, তবে সব নির্দেশ মেনেই

তবে, এ বছর পুজো অন্য রকম। কয়েক মাস ধরে অতিমারিতে সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত ও সন্ত্রস্ত। লুক্সেমবার্গও তার বাইরে নয়।

Advertisement

জয়দীপ হালদার 

লুক্সেমবার্গ শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ইউরোপের চাকচিক্যময় উন্নত দেশগুলির মাঝখানে একটি ছোট্ট মনোরম দেশ লুক্সেমবার্গ। চাকরিসূত্রে গত কয়েক বছর আমরা সেই দেশেরই বাসিন্দা। সারা বছর পরিশ্রম ও কিছুটা একঘেয়েমিতে আমরা যখন ক্লান্ত, তখন সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে আবহাওয়ার পরিবর্তনে মনে লাগে শরতের মিষ্টি ছোঁয়া! সুনীল আকাশের বুকে পেঁজা তুলোর মতো ভাসতে থাকে মেঘ। আর তখনই মনে পড়ে সুদূর বাংলায় এসে গিয়েছে শরৎকাল। আর শরৎকাল মানেই শারদোৎসব, দুর্গোৎসব।

Advertisement

গত বছর থেকে আমরা, মানে লুক্সেমবার্গবাসী বাঙালিরা, সবাই মিলে অসুরনাশিনী দুর্গার আরাধনায় মেতেছি। এটা আমাদের পুজোর দ্বিতীয় বর্ষ। কয়েক দিনের জন্য আমরা এখানে তুলে আনি এক টুকরো ‘বাংলা’। শুরু হয়ে গিয়েছে মাতৃবন্দনার প্রস্তুতি। পুজোর কয়েকটা দিন একসঙ্গে থাকা-খাওয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। সদস্যদের মধ্যে কেউ নিয়েছেন পুরোহিত মশাইয়ের, কেউ মণ্ডপ সজ্জার, কেউ বা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্ব। সব মিলিয়ে পুজোর প্রস্তুতি জমজমাট।

তবে, এ বছর পুজো অন্য রকম। কয়েক মাস ধরে অতিমারিতে সারা পৃথিবী বিপর্যস্ত ও সন্ত্রস্ত। লুক্সেমবার্গও তার বাইরে নয়। এই ছোট্ট দেশেও কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা ১১ হাজার পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৩০-এর বেশি। তবে প্রশাসনের দক্ষতায় অনেকটাই সামলে উঠেছে এ দেশ। ক্রমে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছি আমরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: আইজি ‘অপহরণে’ তপ্ত করাচি, সংঘাতে পাক সেনা ও পুলিশ

অতিমারির কথা মাথায় রেখেই আমরা এ বার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছি ডিজিট্যালি। তা ছাড়া, সরকারের জারি করা সব নির্দেশ মেনেই আমরা উৎসব পালন করব। সতর্কতা হিসেবে থাকছে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব-বিধি পালন করা, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। আমরা চাই সমস্ত নিরাপত্তা বিধি মেনেই দুর্গোৎসবের অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement