International News

যৌন কেলেঙ্কারিতে এ বছর বন্ধ থাকছে সাহিত্যে নোবেল

একটি বিবৃতিতে অ্যাকাডেমির তরফে বলা হয়েছে, ‘‘পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক জনের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, সম্ভাব্য বিজয়ীর নাম ফাঁস ও কয়েকটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় অ্যাকাডেমির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে না। বিজয়ীর নামও ঘোষণা করা হবে না।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

স্টকহলম শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ১৫:৪৮
Share:

নোবল মেডেল।

ঘটনাটা ঘটল ৭৫ বছর পর। এ বছর আর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার যারা দেয়, সেই সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে অ্যাকাডেমির তরফে বলা হয়েছে, ‘‘পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এক জনের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, সম্ভাব্য বিজয়ীর নাম ফাঁস ও কয়েকটি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় অ্যাকাডেমির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হবে না। বিজয়ীর নামও ঘোষণা করা হবে না।’’

Advertisement

অ্যাকাডেমি এও জানিয়েছে, আগামী বছরে একই সঙ্গে ২০১৮ ও ২০১৯-এর সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।

অ্যাকাডেমির স্থায়ী সচিব আঁদ্রেজ ওলসেন বলেছেন, ‘‘নানা ঘটনায় অ্যাকাডেমির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে যথেষ্টই। তা ফেরাতে সময় লাগবে বলেই এ বার বিজয়ীর নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

তবে আর যে সব ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নশাস্ত্র, অর্থনীতি ও শান্তিতে প্রতি বছরের মতো এ বারও দেওয়া হবে পুরস্কার। কারণ, ওই পাঁচটি ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার সুইডিশ কমিটি দেয় না।

১৯০১ সালে ওই পুরস্কার চালু হওয়ার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় ১৯৪০ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি। আর যোগ্য প্রার্থীর অভাবে ১৯৩৫ সালে কাউকে দেওয়া হয়নি নোবেল পুরস্কার। আর মার্কিন ঔপন্যাসিক উইলিয়াম ফকনার সাহিত্যে তাঁর নোবল পুরস্কারটি পেয়েছিলেন, ১৯৫০ সালে, তাঁর নাম ঘোষণার পরের বছর। (নোবেল বিধি অনুযায়ী, নাম ঘোষণার পরের বছরেও সেই পুরস্কার নেওয়া যায়।)

গত বছরের নভেম্বরে ১৮ জন মহিলা অভিযোগ করেন, নিজের প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের যৌন নির্যাতন করেছেন সুইডিশ কমিটির বিচারকমণ্ডলীর একমাত্র মহিলা সদস্য লেখিকা ক্যাটারিনা ফ্রস্টেনসনের স্বামী জঁ-ক্লদ আর্নল্ট। আলোকচিত্রী আর্নল্ট নিজেও সংস্কৃতি জগতের এক নজরকাড়া ব্যক্তিত্ব। এমন অভিযোগও ওঠে, সম্ভাব্য নোবেলজয়ীদের নামও ফাঁস করে দিয়েছেন আর্নল্ট। পরে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগই তাঁর কৌঁসুলির মাধ্যমে অস্বীকার করেন আর্নল্ট। ওই অভিযোগ ওঠায় সুইডিশ অ্যাকাডেমির বোর্ড থেকে ইস্তফা দেন আর্নল্টের লেখিকা স্ত্রী ক্যাটারিনা ফ্রস্টেনসনও।

এর পর নানা রকমের অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইস্তফা দেন অ্যাকাডেমির আরও কয়েক জন সদস্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement