ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
ঝাঁ-চকচকে শপিং মল জল থইথই। যে রাস্তাঘাট দেখলে ঝকঝকে মেঝের মতো পালিশ করা মনে হয়, তার দেখাই নেই। এক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সব জলের নীচে। মরুদেশ দুবাই, যা সাধারণত কাঠফাটা গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় অভ্যস্ত, সেখানে এ হেন অতি ‘আর্দ্রতা’য় খানিক হতভম্ভ দুবাইবাসী। রাস্তায় বেরোলে কোথাও হাঁটু ভেজাচ্ছে জমা জল, কোথাও ডুবছে গোড়ালি। এমনকি, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও নিস্তার পায়নি। রানওয়ে থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে ঢোকার রাস্তা, গাড়ি পার্কিংয়ের এলাকা সবই জলের নীচে। ফলে থমকে গিয়েছে বিমানের ওঠানামা। থমকে গিয়েছে গোটা শহরটাই।
দুবাইয়ে ভারী বৃষ্টি বড় একটা হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরনের দুর্যোগ সামলানোর পরিকাঠামো কম। তবে এই আচমকা বৃষ্টিতে মরুদেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিশ্ব উষ্ণায়ণ এবং তার জেরে সার্বিক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে। যার প্রভাব পড়ছে জনজীবনেও।
মঙ্গলবার দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বহু বিমানকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে বিমানবন্দরে এক সন্ধ্যায় অন্তত শ খানেক বিমান ওঠানামা করে, সেখানে ২৫ মিনিট পুরোপুরি বন্ধ থাকে পরিষেবা। তার পরে শুধু বিমান রওনা হওয়ার পরিষেবা শুরু হলেও অধিকাংশ উড়ান বাতিল করতে হয়। দেরিও হয় বহু উড়ানে।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুবাই বিমানবন্দরের একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রানওয়েতে ঢেউ উঠছে জলে। সেই জলে ডুবে থাকা রানওয়ে দিয়েই এগিয়ে চলেছে বিমান। চাকা ডুবে গিয়েছে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য বিমানগুলির। অন্য একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে বিমানবন্দরের বাইরের রাস্তাতেও পার্কিং লটে অর্ধেক ডুবে রয়েছে গাড়ি। পাশের রাস্তাও জলের নীচে।