ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার থেকে গ্রিসের ক্রিটগামী বিমানে উঠেছিলেন দম্পতি।
বিমানকর্মীকে গালিগালাজ, তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ মত্ত দম্পতির বিরুদ্ধে। শুধু অশালীন আচরণই নয়, নেশার ঘোরে নিজেদের সন্তানকেও কোল থেকে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দম্পতির নাম বেথ জোন্স এবং কিয়েরান কুনহা। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর সাতাশের বেথ এবং তাঁর সঙ্গী কিয়েরান ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার থেকে গ্রিসের ক্রিটগামী বিমানে ওঠেন। নিরাপত্তার ঝামেলার জন্য দেরি হতে পারে, তাই বিমান ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বিমানবন্দরে খাওয়াদাওয়ার পর মদ্যপান করেন দু’জনেই। বিমান ছাড়ার সময় পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আরও মদ্যপান করেন। তার পর নির্ধারিত সময়ে বিমানে ওঠেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল এক শিশুও।
অভিযোগ, বিমানে ওঠার পর থেকেই বেথ এবং কিয়েরান নিজেদের সামলাতে পারছিলেন না। এতটাই মত্ত অবস্থায় ছিলেন যে, নিজেদের সন্তানকেও ঠিকমতো দেখাশোনা করতে পারছিলেন না। শিশুটিকে আসনে বসিয়ে দিতেই সে নীচে পড়ে যায়। শিশুটিকে আবার তুলে আসনে বসান বেথ। কিন্তু এতটাই বেসামাল ছিলেন তিনি, শিশুটিকে বসাতেই পারছিলেন ঠিক করে। বার বার আসনে বসাতে গিয়ে ফেলে দিচ্ছিলেন শিশুটিকে।
বিমানকর্মী ব্রায়ান উইলসন বলেন, “যখন আমি দেখলাম শিশুটি মায়ের হাতে থেকে পড়ে যাচ্ছে, ছুটে গিয়ে শিশুটিকে তোলার চেষ্টা করতেই মহিলার স্বামী আমার কাঁধে হাত দেন। তাঁর পা টলছিল। এমনকি একটা সময় আমাকে জাপটে ধরেন নিজেকে সামলানোর জন্য। শিশুটিকে তুলতে গেলে গালিগালাজও করা হয়।”
বেথ এবং কিয়েরানকে এর পর বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানানো হয়। এর পরই ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের আদালতে তোলা হলে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন দম্পতি। আদালত দু’জনকেই মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে।