চার মাস হয়ে গেল রহিমার কোনও খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
থাকতেন বস্তির ঝুপড়ি ঘরে। ১০ বছরের মধ্যেই সাত তলা বাড়ির মালকিন। ব্যাঙ্কে নামে বা বেনামে ২১ কোটি টাকা। শূন্য থেকে শুরু করে কোটিপতি হওয়া এই ‘সফল’ ব্যবসায়ীর নাম রহিমা বেগম। ব্যবসা করেন নিষিদ্ধ মাদকের। রহিমার এই সম্পত্তির হদিস মিলতেই নড়চড়ে বসেছে বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ দফতর।
রহিমার বাড়ি বাংলাদেশের শরিয়তপুরে। বড় হন ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। সেখানকার নামাপা়ড়া বস্তিতে থাকত রহিমার পরিবার। ওই বস্তিরই বাসিন্দা হজরত আলির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিয়ের পরপরই স্বামী-স্ত্রী একযোগে মাদক ব্যবসায় নামেন। আর দ্রুতই বড় হতে থাকে ব্যবসা। মাদকের টাকাতেই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাহমুদনগরে সাত তলা বাড়ি হাঁকিয়ে ফেলেন তাঁরা। বাড়ি রহিমার নামেই। এ ছাড়া তাঁর নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে রয়েছে অনেক জমিজমাও। রহিমার স্বামী ২০১৯ সালে পুলিশের গুলিতে মারা যান। কিন্তু রহিমার মাদক ব্যবসা তাতে থেমে থাকেনি। মাস চারেক আগে রহিমার ব্যাঙ্কের তথ্য উঠে আসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরের হাতে। দেখা যায়, তাঁর ব্যাঙ্কে মোট ১২ কোটি জমা রয়েছে। এ ছাড়াও প্রয়াত স্বামী এবং বিভিন্ন আত্মীয়ের অ্যকাউন্টে রয়েছে ৯ কোটি টাকা।
রহিমা বেগম এবং তাঁর বহুতল বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতরের অতিরিক্ত পরিচালক আলি আসলাম হোসেন বলেন, “মাদক ব্যবসা করে রহিমা বেগম ও তার স্বামীর অপরাধলব্ধ আয় নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করি। সেই অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদক ব্যবসা করেই তাঁরা বাড়ি, জমি-সহ স্থাবর–অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, খুনের মামলার অভিযোগও রয়েছে রহিমার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মাদক ব্যবসা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগেও তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে একটি খুনের মামলায় জামিন পাওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। চার মাস হয়ে গেল রহিমার কোনও খোঁজ পাচ্ছে না পুলিশ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।