প্রতীকী ছবি।
এ যেন ট্রাম্পের উলাটপুরাণ! টিকটক নিষিদ্ধ করা নিয়ে আমেরিকায় এই মুহূর্তে বেশ হইচই চলছে। নভেম্বরের আগে মার্কিন মুলুক থেকে টিকটক-কে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বলেছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই টিকটক-কেই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিলেন ট্রাম্প। তবে শর্তসাপেক্ষে!
শনিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প জানান, ওয়ালমার্ট, ওরাকল-এর সঙ্গে টিকটক সংস্থা বাইটডান্সের যে চুক্তির কথা চলছে তা তিনি সমর্থন করছেন। আমেরিকায় টিকটকের পরিষেবা চলবে ‘টিকটক গ্লোবাল’ নামে। যা পরিচালনার সিংহভাগ দায়িত্ব থাকবে ওরাকল এবং ওয়ালমার্টের হাতেই।
অনেকটা ভারতের পথে হেঁটেই জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রশ্ন তুলে দু’টি চিনা অ্যাপ—উইচ্যাট ও টিকটক নিষিদ্ধ করে ট্রাম্প প্রশাসন। আজ, রবিবার থেকেই সেখানে উইচ্যাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে টিকটককে। কিন্তু তার আগেই ট্রাম্প ঘোষণা করলেন, টিকটক সংস্থা বাইটডান্সের সঙ্গে দুই মার্কিন সংস্থার যে চুক্তির কথা চলছে তাতে তিনি সমর্থন জানাচ্ছেন। এবং সব ঠিক থাকলে নতুন রূপে পরিষেবা শুরু করতে পারবে টিকটক।
ট্রাম্প বলেন, “টিকটক গ্লোবাল-কে পুরোপরি নিয়ন্ত্রণ করবে ওরাকল এবং ওয়ালমার্ট।” এই চুক্তি যদি চূড়ান্ত হয়ে যায় তাহলে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা ১০০ শতাংশই বজায় থাকবে। এমন মন্তব্যও করেছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: রেকর্ড সংক্রমণ ফ্রান্সে, ফের ‘ঘরবন্দি’ মাদ্রিদ
এই চুক্তি প্রসঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অ্যাপটির প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব থাকবে ওরাকল-এর হাতে। গ্রাহকদের তথ্য যাতে বেহাত না হয় সেটা দেখবে এই সংস্থা। মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন সংস্থার মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তির জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকায় টিকটকের গ্রাহক সংখ্যা অনেক। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনপ্রিয় অ্যাপটির অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখতে তাই মরিয়া টিকটক সংস্থা বাইটডান্সও। টিকটক জানিয়েছে, আমেরিকায় যাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও খামতি না হয় এবং সেখানে টিকটকের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই তারা এই চুক্তির প্রস্তাবকে স্বাগত জানাচ্ছে। পাশাপাশি টিকটক এটাও জানিয়েছে যে, এই অ্যাপের পুরো প্রযুক্তিটাই দেখবে ওরাকল।
তবে প্রশ্ন উঠেছে টিকটক সংস্থার শেয়ারের বিষয়টি নিয়ে। শেয়ারের সিংহভাগই কি মার্কিন সংস্থাগুলোর হাতে ছেড়ে দেবে টিকটক, না কি নিজেদের হাতে রাখবে। যদিও জল্পনা চলছে, সংস্থার ৫৩ শতাংশ শেয়ার থাকবে আমেরিকার হাতে। ৩৬ শতাংশ শেয়ারের অংশীদার হবে বাইটডান্স। এ ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বাইটডান্স।
তবে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন চিন এই চুক্তিতে সম্মতি দেবে। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “অপেক্ষা করছি চিন এ ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়।”