আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঠিক আগে অতীতের কিছু অপ্রিয় স্মৃতি ধামাচাপা দিতে এক পর্ন তারকার ‘মুখ বন্ধ’ করতে চেয়েছিলেন তিনি। যার জন্য ওই মহিলাকে বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়া হয়েছিল তাঁর এক সহযোগী মারফত— এই অভিযোগের তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই গতি পাচ্ছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেফতারির আশঙ্কা। আর যদি তা সত্যি হয় তা হলে ট্রাম্পের ডাকে সাড়া দিয়ে আমেরিকাকে চরম অশান্ত করে তুলতে পারে তাঁর সমর্থকেরা। যে কারণে নিরাপত্তা আরও জোরালো করা হল নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহরে। সরাসরি সে কথা না-বলা হলেও। প্রশাসনের অন্দরের গুঞ্জন এমনটাই।
ট্রাম্পের বিচার চলছে ম্যানহাটন ক্রিমিনাল কোর্টে। সেখানকার নিরাপত্তাও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েক ধাপ। বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেডও। বাহিনীর পাশাপাশি ঘুরছে সাদা পোশাকের পুলিশ। আদালতের এক সূত্রের দাবি, ট্রাম্পের মুখে মঙ্গলবার গ্রেফতারির কথা শোনা গেলেও হয়তো অশান্তির কথা মাথায় রেখেই তা আপাতত এড়িয়ে যাওয়া হতে পারে।
তবে ঠিক কি এমন ঘটিয়েছিলেন ট্রাম্প যার জন্য অপরাধীর তকমা লাগতে পারে তাঁর নামের সঙ্গে? ঘটনার সূত্রপাত ২০০৬ সালে। লেক টাহোতে এক অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস এবং শিল্পপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ২০১৮ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘ফুল ডিসক্লোজ়ার’-এ এই সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন স্টর্মি। যদিও তা অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, তেমন কিছুই ঘটেনি। ‘টাকা আদায়ের’ জন্যেই স্টর্মি এ সমস্ত রটাচ্ছিলেন। ট্রাম্পের যুক্তি, পুরোটাই সাজানো ঘটনা। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, ডেমোক্র্যাট মনোভাবাপন্ন অ্যালভিন ব্র্যাগে এই চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন। যাতে তাঁকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বচনের লড়াই থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সত্যিটা কী? তা অবশ্য সময়েই বলবে।