ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ফাইল চিত্র
ইমপিচ-ফাঁড়া কাটতেই ফের ‘স্বমহিমায়’ ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরুদ্ধ স্বর যে তাঁর পছন্দ নয়, সে কথা নিজেই একাধিক বার বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই ‘ট্র্যাডিশন’ বজায় রেখে সেনেটে রেহাই পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার ‘অপরাধে’ দুই শীর্ষ মার্কিন কর্তাকে ছেঁটে ফেললেন ট্রাম্প। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ডের চাকরি যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাল হোয়াইট হাউসের পাট চুকিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেল জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য তথা ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলেকজ়ান্ডার ভিন্ডম্যানকে।
ট্রাম্পের কোপে আরও অনেকে পড়তে পারেন বলে অনুমান হোয়াইট হাউসের একাংশের। ২০১৮-র জুলাইয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা নিয়ে চাপ দেন ট্রাম্প। অন্যথায় সামরিক সাহায্য বন্ধের হঁশিয়ারিও যায় ওয়াশিংটন থেকে। সূত্রের খবর, ট্রাম্পের নির্দেশে ওই ফোনালাপের শুরুটা করেছিলেন ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত ভিনল্যান্ড।
সেনেটে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ফোন করার কথা স্বীকার করে নিয়েই ভিনল্যান্ড বলেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ অনুচিত। ট্রাম্প পাল্টা বলেন, ‘‘এর পরেও এদের সহ্য করার কোনও মানে হয় না।’’ হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবেরও একসুর— প্রেসিডেন্টকে বিপাকে ফেলতে চাইলে, ফল তো ভুগতেই হবে! আর গর্ডনের প্রতি তিনি যে ক্ষুব্ধ, সেটা গত বছর নভেম্বরে কংগ্রেসে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়েই স্পষ্ট করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, মিথ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন ইইউ-এ মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তার দু’মাসের মধ্যেই চাকরি খোয়াতে হল গর্ডনকে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আসার পরে প্রাথমিক কমিটি গঠনে দেশের একটি বিখ্যাত হোটেল-চেনের মালিক এই গর্ডনই ১০ লক্ষ ডলারের অনুদান দিয়েছিলেন ট্রাম্প শিবিরকে।