রিপাবলিকান পার্টি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রয়েছেন এশিয়া সফরে। সেই সময় ভার্জিনিয়া এবং নিউ জার্সির ভোটে ভরাডুবি হল ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির।
মঙ্গলবার ভার্জিনিয়া এবং নিউ জার্সিতে নির্বাচন হয়েছিল। আজ ফল প্রকাশ হয়েছে। ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী র্যালফ নর্দ্যাম। তিনি হারিয়েছেন রিপাবলিকান এড গিলেসপিকে। আর নিউ জার্সিতে রিপাবলিকান প্রার্থী কিম গুয়াডাগনোকে হারিয়ে গভর্নর নির্বাচিত হয়েছেন ফিলিপ মারফি। সেই নিউ জার্সি, যা ২০১০ সাল থেকে গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টির নেতৃত্বে রিপাবলিকানদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে ভার্জিনিয়া এবং নিউ জার্সির এই জয় ডেমোক্র্যাটদের চাঙ্গা করে তুলেছে।
নর্দ্যাম এবং গিলেসপির ভোট-যুদ্ধটি ছিল বেশ নাটকীয়। হাড্ডাহাড্ডিও। ভার্জিনিয়া ডেমোক্র্যাটদের দখলেই ছিল। গ্রামীণ ভার্জিনিয়ায় বেশ ভাল ফল করেছেন গিলেসপি। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের জমি শহর এবং শহরতলিতে তিনি দাঁত ফোটাতে পারেননি। জেতার জন্য অবশ্য চেষ্টার কসুর করেননি গিলেসপি। তিনি প্রচার চালিয়েছিলেন ট্রাম্পের কায়দায়। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। নর্দ্যাম পেয়েছেন ৫৪ শতাংশ ভোট, আর গিলেসপি ৪৬ শতাংশ।
ভোট প্রচারের সময় গিলেসপির পাশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে একবারও দেখা যায়নি। টুইটারে সমর্থন জানিয়ে দায়টুকু সেরেছিলেন তিনি। আর আজ ভোটের ফল প্রকাশ হতেই পরাজিত প্রার্থীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে ফেলেন ট্রাম্প। পরাজয়ের ‘দায়’ গিলেসপির ঘাড়ে ট্রাম্প টুইট করেন, ‘‘গিলেসপি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। কিন্তু আমার কথা তিনি ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারেননি।’’ আর জেতার পরে নর্দ্যাম বলেন, ‘‘ট্রাম্পের বিভাজন নীতির বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছে ভার্জিনিয়া। মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লড়িয়ে দেওয়া, এটা ভার্জিনিয়ার পথ নয়। আমেরিকারও পথ নয়।’’