আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
কম সুদে বেশি ঋণ পেতে নিজের নির্মাণ ব্যবসার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে অনেকটা বেশি দেখানোর অভিযোগে মোটাঅঙ্কের জরিমানার মুখে পড়লেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই মামলায় নিউ ইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে প্রায় ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছে। তবে তা সুদ সমেত বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪৫ কোটি ডলারে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, নিউ ইয়র্কের কোনও ব্যাঙ্ক থেকে আগামী তিন বছর ট্রাম্প কোনও ঋণ নিতে পারবেন না। ওই তিন বছর নিউ ইয়র্কের কোনও সংগঠনের অধিকর্তা বা ডিরেক্টর পদেও থাকতে পারবেন না তিনি। ম্যানহাটনের এক আদালতে সেপ্টেম্বর থেকে একটানা শুনানির শেষে শুক্রবার এই রায় দিয়েছেন বিচারপতিআর্থার এনগোরন।
আগামী নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে ফের লড়তে চলেছেন ট্রাম্প। তার আগে আদালতের এই রায়ে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নতুন করে বিপত্তির মুখে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়বেন বলে জানিয়েছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প এনগোরনকে ‘জটিল-কুটিল’ বলে সম্বোধন করে লিখেছেন, ভোটের আগে তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। ট্রাম্পের কথায়, ‘এই রায় সম্পূর্ণ ভাবে ভুল। এই অবিচার মেনে নেওয়া যায় না।’
ট্রাম্পের পাশাপাশি তাঁর দুই ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিকও এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁদের ৪০ লক্ষ ডলার করে জরিমানা করা হয়েছে। দু’জনকেই দু’বছরের জন্য নিউ ইয়র্কে ব্যবসা করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাঁরা দু’জন অবশ্য এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে রায়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলেছেন ডোনাল্ড জুনিয়র। আর এরিক বিচারককে ‘নিষ্ঠুর’ বলে মন্তব্য করেছেন।