ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রাস্তা প্রায় সাফ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া সেনেটের ইমপিচ-ছবি বলছে, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝিই হয়তো নিজেকে ‘বেকসুর’ ঘোষণা করতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সেনেটে যে ট্রাম্পকে কোণঠাসা করা সম্ভব নয়,
ভালই জানতেন ডেমোক্র্যাটরা। তবু শেষ চেষ্টা করেন ন্যান্সি পেলোসিরা। দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন সাক্ষীর কাঠগড়ায়। কাল যা সরাসরি নাকচ করেন রিপাবলিকানরা। ভোটাভুটিতেই মুখ পুড়ল ট্রাম্প-বিরোধীদের।
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষে বল্টনদের মতো হাই-প্রোফাইল সাক্ষীকে ডাকা হবে কি না, তা নিয়ে গত কাল রাতে ভোট হয় সেনেটে। ১০০ সদস্যের সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের আসন ৪৭টি। দু’জন রিপাবলিকানকেও এই প্রস্তাবের নিরিখে দলে টানতে সক্ষম হয় তাঁরা। তবু নতুন সাক্ষী তলবের বিপক্ষে ৫১টি ভোট দিয়ে শেষ হাসি হাসলেন রিপাবলিকানরাই।
বুধবার ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে সেনেটে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হওয়ার কথা। ভোট দেবেন এই ১০০ জনই। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৭টি ভোট। যা তাঁদের পক্ষে জোটানো সম্ভব নয় বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ। কালকের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, মিট রমানি ও সুসান কলিন্স ছাড়া কোনও রিপাবলিকান সেনেটরকেই পাশে পাচ্ছে না ডেমোক্র্যাট শিবির।
ডেমোক্র্যাটরা তবুও মনে করছেন, বল্টনকে কাঠগড়ায় তুলতে পারলেই বাজিমাত করা যেত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ডোমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু নিয়ে ইউক্রেনের উপর চাপ দেন তিনি। অন্যথায় নাকি সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকিও দেওয়া হয়। এক মার্কিন পত্রিকার দাবি, বল্টন তাঁর আগামী বইয়ে এই তথ্য শুধু স্বীকারই করেননি, জানান যে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই এই আলোচনায় জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁকে।