মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের উপরে যথেচ্ছ আক্রমণ শানিয়ে একগুচ্ছ টুইট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেনেটে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট শুনানিতে বোল্টনকে সাক্ষ্যের জন্য আদৌ ডাকা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন রিপাবলিকানরা সেনেটররা। তার মধ্যেই বোল্টনের আসন্ন স্মৃতিকথা নিয়ে টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর মতে, সেটি ‘অসত্য ও জঘন্য’ একটি বই।
প্রেসিডেন্ট এমনিতে বলে থাকেন, তিনি সব সময় সেরা লোককেই কাজের জন্য বেছে নেন। সেই তিনি বোল্টনকে বিঁধে এখন বলেছেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে যদি বোল্টন এখনও থাকতেন, তা হলে ষষ্ঠ বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত।’’ টুইটে ট্রাম্পের দাবি, ‘‘অতীতে রাষ্ট্রপুঞ্জে দূত হিসেবে মনোনীত হতে পারেননি যিনি, তিনি কিছুতেই সুযোগ পাবেন না এটাই স্বাভাবিক। সেনেট বাদে অন্য কোথাও কাজের জন্য ঘ্যানঘ্যান করছিল। আমাকে অনেকে না করেছিল, তবু আমি ওকে সুযোগ দিয়েছিলাম। কাজে যোগ দিয়ে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া। ওর সব কথায় কান দিলে এত দিনে আমরা ষষ্ঠ বিশ্বযুদ্ধ দেখে ফেলতাম। সেই লোক বেরিয়ে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে একটা জঘন্য, অসত্যে ভরা বই লিখে ফেলল। সব জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন নথি। কে করে এমন কাজ?’’
এর পরে ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্পের টুইট, ‘‘ডেমোক্র্যাটদের হাতে যত সাক্ষীই যাক, যত তথ্য ওরা জোগাড় করুক, কিছুই যথেষ্ট নয়। ওরা সব সময় চেঁচাবে, ‘অন্যায্য ঘটনা।’ ইমপিচমেন্ট আসলে একটা রাজনৈতিক ধাপ্পা।’’
টুইট করার আগের দিন এক মার্কিনদৈনিকে প্রকাশিত হয়, বোল্টনের আসন্ন বইটিতে ট্রাম্প যে ভাবে ‘সুবিধা পাওয়ার জন্য সুবিধার সুযোগ করে দিয়েছিলেন’, তার উল্লেখ রয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের পরিবর্তে ট্রাম্প যে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সে কথা বইয়ে লিখেছেন বোল্টন— জানায় দৈনিকটি। তাতেই খেপে ওঠেন ট্রাম্প।
বোল্টনের বইয়ে ওই তথ্য রয়েছে, এটা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই সেনেটের ইমপিচমেন্ট শুনানিতে তাঁর সাক্ষ্যের জন্য জোর সওয়াল করা ওঠে। গত বছর সেপ্টেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়েন বোল্টন। তার এক দিন আগেই হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ ট্রাম্পের ইউক্রেন লেনদেন সংক্রান্ত তিনটি তদন্তের সূচনা হয়।