ওভাল অফিসে বসার এক সপ্তাহের মাথায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলছিলেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। কিন্তু পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই সেই ফোন কেটে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শোনা যায়, বারাক ওবামার আমলের শরণার্থী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর। তবে কাল মুখোমুখি বসে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করলেন খোদ ট্রাম্প।
কালই নিউ ইয়র্কে বৈঠক হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। আর তার পরই ট্রাম্প জানান, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা ঠিক কতটা মধুর। ফোন বিতর্কে সংবাদমাধ্যমের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন তিনি।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে দু’দেশের সম্পর্ক খানিকটা শোধরানোর চেষ্টা করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। কিন্তু সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্টের আপত্তি সত্ত্বেও দু’দেশের বন্ধুত্বের খাতিরে ওই চুক্তি মেনে নিচ্ছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট।’’
এই বন্ধুত্বের সুর আজ তুলে ধরেছেন ট্রাম্পও। প্রবাল সাগরের যুদ্ধের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কাল রাতে বিশেষ ডিনারের আয়োজনও করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভাল বন্ধু আমেরিকার আর নেই। এটা মানতেই হবে।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে টার্নবুলের গলাতেও। বলেছেন, ‘‘শরণার্থী চুক্তির বাইরে চলে গিয়েছে আমাদের সম্পর্ক।’’