পাকিস্তানের চিকিৎসাকেন্দ্রে ঝাড়পোঁছ করতে আসতেন শাহজাদ।
বৈষম্যকে বুড়ো আঙুল দেখাল ভালবাসা। নিজের চিকিৎসাকেন্দ্রের সাফাইকর্মীকে বিয়ে করলেন চিকিৎসক। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ওকারা তহশিলের দিপলপুরের ঘটনা।
পাকিস্তানের চিকিৎসাকেন্দ্রে ঝাড়পোঁছ করতে আসতেন শাহজাদ। চা-টা দিয়ে যেতেন। সেখানে দেখেই তাঁকে পছন্দ হয় চিকিৎসক কিশওয়ার সাহিবার। বিয়ের প্রস্তাবও দেন। তার পর এক দিন বিয়েটা সেরেও ফেলেন দু’জন। নিজের প্রেমের গল্প পাকিস্তানের একটি ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন কিশওয়ার-শাহজাদ। শুনে তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দুনিয়া।
স্বামী শাহজাদ স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন যে হতে পারে, ভাবতেই পারেননি! প্রথম প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন কিশওয়ারই। যখন চিকিৎসাকেন্দ্র ঝাড়পোঁছ করতে এসেছিলেন শাহজাদ, তাঁর মোবাইল নম্বরটা চেয়ে নেন কিশওয়ার। এর পর হোয়াটসঅ্যাপে দু’জনের কথাবার্তা চলতে থাকে। এক দিন শাহজাদ একটি ‘স্টেটাস মেসেজ’ দিয়েছিলেন হোয়াটসঅ্যাপে। সেই দেখে এক মুহূর্তেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন কিশওয়ার। শাহজাদকে নিজের কর্মস্থল হাসপাতালে ডেকে পাঠান। তার পর সটান জানিয়ে দেন ভালবাসার কথা।
শুনে চমকে গিয়েছিলেন শাহজাদ। জ্বর এসে গিয়েছিল। সেই জ্বরের চিকিৎসা করেছিলেন, স্বভাবতই, কিশওয়ারই। তার পরেই দু’জন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কেন শাহজাদকে ভাল লেগেছিল কিশওয়ারের? পাত্রী জানিয়েছেন, এক বারের জন্যও শাহজাদকে দেখে তাঁর ‘চা-ওয়ালা’ মনে হয়নি। সাদাসিধে মানুষটাকেই ভাল লেগে গিয়েছিল চিকিৎসক কিশওয়ারের।
কিশওয়ার মেনে নিলেও শাহজাদকে তাঁর স্বামী হিসাবে মানতে পারেননি কিশওয়ারের সহকর্মীরা। তাঁদের কটুক্তির জন্য ওই চিকিৎসাকেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কিশওয়ার। এখন তাঁর ইচ্ছা, ওই এলাকাতেই একেবারে নিজের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র খুলবেন। প্রত্যাশিত ভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছেন শাহজাদ।