চিনের বিরুদ্ধে এমনই আন্দোলন দেখা গিয়েছিল হংকংয়ের রাস্তায়। ছবি: শাটারস্টক।
হংকংয়ে এ বার চিনা কর্তৃত্ব কার্যত কায়েম হওয়ার পথে। কারণ, দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সেখানকার আইনসভায় বিতর্কিত সংশোধিত নির্বাচনী বিল পাশ হয়ে গেল। যার আওতায় নিজে ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচনের ক্ষমতা প্রায় হারাতে বসলেন সেখানকার নাগরিকবৃন্দ। বরং নয়া নীতি অনুযায়ী, চিনের সমর্থক আইনপ্রণেতারাই সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছেন।
এই বিল ঘিরেই বছর দুয়েক আগেই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন দেখা গিয়েছিল হংকংয়ের রাস্তায়। অভিযোগ উঠেছিল, বেজিংয়ের অঙ্গুলিহেলনে চলে যে জাতীয় নিরাপত্তা দফতর, তাদের মাধ্যমেই হংকংয়ে আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে চিন। সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সেই বিলই বৃহস্পতিবার পাশ হয়ে গেল হংকংয়ের আইনসভায়।
সংশোধিত বিলটিতে আইনসভার আসনসংখ্যা বাড়িয়ে ৯০ করার কথা বলা রয়েছে। যার মধ্যে ৪০টি আসনের সদস্য বেছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেজিং সমর্থিত নির্বাচন কমিটিকে। হংকংবাসীকে মাত্র ২০টি আসনে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এত দিন আসনসংখ্যা ছিল ৭০, যার মধ্যে হংকংবাসী ৩৫ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে বেছে নিতে পারতেন। বাকি আসনগুলিতেও সদস্য নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিটি। প্রার্থীরা প্রকৃত ‘দেশভক্ত’ কি না, যাচাই করে, তবেই আইনসভায় প্রবেশের অনুমতি দেবে তারা। সে দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, চিনা নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে গতবছর বহু আইনপ্রণেতা ইস্তফা দিয়ে দেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ৪০-০২ ভোটে বৃহস্পতিবার বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়া হয়।